সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতার নেপথ্যে

fec-image

এপ্রিলের শুরুতে সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতার কারণে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা এখনো বিরাজমান। অতীতে সুপ্ত থাকলেও বর্তমানে তা আবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

বুধবার বান্দরবানের রুমায় একটি এবং বৃহস্পতিবার থানচিতে দু’টি ব্যাংক আক্রমণ ও লুটপাট করে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। গতকাল সকাল থেকে আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিয়ানমারের সীমান্ত। এরই মাঝে কেএনএফের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাশাপাশি অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলা। উভয় জেলাই ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন। আর ভারত, মিয়ানমার, বাংলাদেশের সীমান্তরেখায় গত কিছুদিন ধরেই চলছে চরম অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত। এমনই পটভূমিতে সীমান্তের পাশে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতার সিরিজ ঘটনা জাতীয় ও আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য প্রচণ্ড হুমকিস্বরূপ।

প্রথমেই বুঝতে হবে হঠাৎ কেন কেএনএফ তৎপর হলো। শান্তিচুক্তি বিরোধী এই সংগঠনের সঙ্গে যখন সরকারের শান্তির আলোচনা চলমান এবং আগামী ১৬ তারিখ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রকাশ, তখন এই ধরনের সর্বাত্মক হামলার মাধ্যমে কেএনএফ কী বার্তা দিতে চায়? শান্তি ও চুক্তির প্রতি তারা কী অনাস্থা প্রদর্শন করলো এই ব্যাপক আকারের সশস্ত্র অপারেশনের মাধ্যমে?

তাছাড়া অতীতে ব্যক্তি বা পাড়া-মহল্লা পর্যায়ে আক্রমণ করলেও এই প্রথমবারের মতো কেএনএফ প্রশাসন ও সরকারি স্থাপনায় সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালিয়েছে। তারা বিপুলসংখ্যক মানুষকে জিম্মি করেছে। সরকারি অস্ত্র ও ব্যাংকের টাকা লুটপাট করেছে।

ক্ষুদ্র ও চোরাগোপ্তা হামলার পর্যায় শেষে প্রকাশ্যে বড় ধরনের অপারেশনে বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির নামে অর্থ ও অস্ত্র লুণ্ঠন এবং অবাধে নাশকতা করার শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়ে সশস্ত্র কেএনএফ বাহিনী যে মেসেস দিয়েছে, তা সুস্পষ্ট। তাদের দ্বারা সংঘটিত ডাকাতিকে নিছক ‘ডাকাতি’ হিসেবে দেখা ভুল। আসলে ডাকাতির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এর পেছনে বিদেশি ইন্ধন থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অভিজ্ঞ মহল।

কেএনএফের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে মোটেও অসুবিধা হয় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার স্নাতক নাথান বম এক সময় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এর ছাত্রসংগঠনে যুক্ত ছিলেন।

তবে জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে পরে স্বতন্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কুকি-চিন জাতীয় উন্নয়ন সংস্থা। এরপর ২০১৭ সালে বম সম্প্রদায়ের দুই হাজার কর্মী নিয়ে গড়ে তোলেন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। মূলত বম জনগণের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সংগঠনটি। আর রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ৯টি উপজেলা নিয়েই হবে এর ভৌগোলিক সীমানা। যার বাসিন্দারা উপজাতি হলেও তারা নব্য-দীক্ষিত খ্রিষ্টান। উল্লেখ্য, কেএনএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের যে অঞ্চলকে টার্গেট করেছে তার অপর পাশে ভারত অংশের মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড রাজ্য এবং মিয়ানমানের চিন প্রদেশ খ্রিষ্টান অধ্যুষিত।

এমন ভূরাজনৈতিক ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বড় আকারের সশস্ত্র শক্তি প্রদর্শন ও লুটপাটের ঘটনা অবশ্যই নিরাপত্তাগত বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর। ঘটনাগুলোকে ‘ব্যাংক ডাকাতি’ আখ্যা দেয়া হলেও তা নিছক চোর-ডাকাতের মামুলী অপরাধকর্ম নয়। এসব আক্রমণের পেছনে রয়েছে সুনির্দিষ্ট জাতিগত অসন্তোষ, পার্বত্য চট্টগ্রামের এলিট নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির ব্যর্থতা এবং জাতিগোষ্ঠীর মতাদর্শগত প্রণোদনা, যার ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এসব সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম করছে। এসব সশস্ত্র পন্থায় তারা ডাকাতিকে উপলক্ষ করেছে বটে, কিন্তু তাদের মূল লক্ষ্য আরও বড় ও সুদূরপ্রসারী।

গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় ব্যাংক লুটের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা নেয়ার দাবি করা হলেও তা ছিল কথার কথা। বাস্তবে ঘটনাটির গুরুত্ব ও গভীরতা অনুধাবন করা উপজেলা পর্যায়ের জুনিয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার কথাও নয়। ফলে পরের দিন (বুধবার, ৩ এপ্রিল) দুপুরের মধ্যেই আরও দুটি ব্যাংকে লুটপাট ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত-সংলগ্ন ও সংঘাত-প্রবণ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলোও সামনে চলে এসেছে।

অতীতেও কেএনএফ নাশকতা চালিয়েছে। তাদেরকে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে আস্থায় আসার জন্য দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। এতে কিছুদিন স্তিমিত থাকলেও কেএনএফ তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি। এবার প্রকাশ্যে সংঘবদ্ধভাবে বড় আকারে আক্রমণ করে কেএনএফ নিজের শক্তির প্রদর্শনী করেছে এবং প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। মসজিদ, বাজার ও পাবলিক প্লেসে আক্রমণ করার সাহস দেখিয়েছে। এমনকি, আক্রমণের একদিন যাওয়ার আগেই এই ধরনের দ্বিতীয় আক্রমণ, ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও মানুষকে জিম্মি করার ঘটনা ঘটিয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। তারা যে প্রস্তুত এবং নিঃশঙ্ক, এই বার্তা সহজেই পাঠ করা যায় কেএনএফের অ্যাকশনগুলোর বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

অন্তত একটি বিষয় স্পষ্ট যে, এসব আক্রমণ প্রমাণ করে সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তাদের বিশ্বাস নেই। থাকলে আলোচনা চলমানকালে এবং রমজানের মতো পবিত্র মাসে কেএনএফ আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতো না। বরং তাদের উদ্দেশ্য আরও বড়। স্বায়ত্তশাসন কিংবা বাংলাদেশের সীমান্তের পার্শ্ববর্তী ভারত ও মিয়ারমার অংশের কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে বড় আকারের ঐক্য গড়া ও বৃহত্তর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা।

মিয়ানমারে যে জাতিগত সশস্ত্র সংঘাত চলছে, সেখানে কুকি-চিন বা তাদের সমগোত্রীয় পক্ষগুলো সক্রিয়। এসব পক্ষকে দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন দিয়ে রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী করছে। মিয়ানমারে তারা সরকারি সামরিক বাহিনীকে পর্যুদস্ত করছে। ভারতের মণিপুর ও নাগাল্যান্ডকে সংঘাতময় করে তুলছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অংশের বান্দরবানে অবাধে সশস্ত্র হুমকি দিচ্ছে।
ফলে কেএনএফ কেবল বাংলাদেশ নয়, আন্তঃদেশীয় পর্যায়ে তৎপর। তাদের দ্বারা অনেক দেশই নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। এবং কেএনএফ যত না দেশীয় সংগঠন, বরং একটি আঞ্চলিক সংগঠন। ফলে তাদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদেরকে দমনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

বিশেষ করে, তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও সামরিক শক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ, এবার বান্দরবানে সিরিজ ডাকাতি কালে কেএনএফ নির্বিঘ্নে অপকর্ম করেছে। তাদেরকে প্রতিহত করার প্রস্তুতি ও শক্তি প্রশাসনের ছিল না, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ দেয়।

ফলে পার্বত্য রাজনীতি ও নিরাপত্তা কৌশলের ক্ষেত্রেও নীতি-নির্ধারকদের নতুন করে ভাবতে হবে। গতানুগতিক পন্থায় পাহাড়ের অন্য সংগঠনগুলোর মতো কেএনএফকে বাগে আনা সম্ভব কিনা, তাও ভেবে দেখতে হবে। বান্দরবানে একজন সাবেক মন্ত্রী সামরিক-বেসামরিক লোকজনদের নিয়ে যখন রাজকীয় ইফতার পার্টি করেন, তার কয়েকদিনের মধ্যেই কেএনএফ প্রকাশ্যে বড় আকারে আক্রমণ ও শক্তি প্রদর্শন করলো। ফলে পাহাড়ের ক্ষমতার রাজনীতির বিদ্যমান নেতৃত্ব ও চলমান কাঠামো এই রেডিক্যাল ফোর্সকে সামাল দিতে আদৌ সমর্থ হবে বলে মনে করার কারণ নেই।

ইতিমধ্যেই কেএনএফের ব্যাপক তৎপরতা ও সশস্ত্র শক্তির মহড়া থেকে পার্বত্য জনমনে ও নেতাদের মধ্যেও ভীতির সঞ্চার হয়েছে। কেএনএফ’র সঙ্গে আলোচনায় লিপ্ত ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। কেএনএফের অপারেশন পরিচালনার পর গত বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২রা এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজিদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেয়া। ৩রা এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯শে মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ই জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ের পর উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

গত বছরের ৫ই নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ই মার্চ দু’দফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফের সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্যদিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)কে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯শে মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ই জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি অনিশ্চতার মুখোমুখি হয়েছে।

লেখক: প্রফেসর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরিএসবিডি)।

 

সূত্র: মানবজমিন
Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কেএনএফ, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন