অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান

fec-image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন হচ্ছে বলে জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি সবাইকে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সঙ্গে সবাইকে পেশাদারিত্বের প্রত্যাশিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

এর আগে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের এমআর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনীর প্রধান উপস্থিত হলে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার তাকে অভ্যর্থনা জানান।

এ সময় অধিনায়ক, ১৮ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির নেতৃত্বে একটি চৌকশ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনীর প্রধানকে সালাম প্রদান করেন। গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিটসমূহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বর্রপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, একটি ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

এ সময় সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালার অর্জন করা ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী যে কোনো ইউনিটের জন্য রেজিমেন্টাল কালার অর্জন অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষ্যে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

এছাড়া গতকাল চট্টগ্রামে আর্মি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি আর্মি মেডিক্যাল কলেজ ও ছয়টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম একযোগে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের আর্মি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সেনা এবং নৌ-বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: সেনাপ্রধান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন