আট বছর পর খাগড়াছড়িতে পা রাখলেন ওয়াদুদ ভুইয়া
মুজিবুর রহমান ভুইয়া :
দীর্ঘ আট বছরেরও কিছু সময় পরে কোন রাজনৈতিক কর্মসুচীতে যোগ দিতে নিজের প্রিয় ভুমি খাগড়াছড়ির মাটিতে পা রাখলেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া। তার এ আগমন দলের তৃনমুলের নেতাকর্মীদের অধিকতর উজ্জীবিত করে তুলবে বলেই মনে করেন জেলার রাজনীতিক সচেতন মহল।
বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সমূহকে গতিশীল ও গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণকে সরকার পতনের আন্দোলনে সামিল করতে সারাদেশে বিএনপি’র জেলা ভিত্তিক কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুইয়া।
কোন রাজনৈতিক কর্মসুচীকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে তার উপস্থিতি খাগড়াছড়ির রাজনীতিতে নয়া মেরুকরনের জন্ম দেবে বলে মনে করেন অনেকে। আগে থেকেই ওয়াদুদ ভুইয়ার খাগড়াছড়ির কর্মীসমাবেশে যোগ দেয়ার বিষয়টি নেতাকর্মীদের মাঝে চাউর হলে সমাবেশ পরিণত হয় জনসমুদ্রে। জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আশ-পাশ সহ উঁচু ভবনের চাদে যেন তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। দীর্ঘদিন পরে কোন রাজনৈতিক সমাবেশে প্রিয় নেতার বক্তব্য শুনতে সবাই যন হুমরি খেয়ে পড়ে।
তার আগে সর্বশেষ গেল বছরের ৩ জুলাই মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বেরচড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আবদুল মান্নান মুনাফ‘র জানাজায় অংশ নিতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা আসেন ওয়াদুদ ভুইয়া।
২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য খাগড়াছড়ি এলে ক্ষমতাসীনদলের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে তিনি খাগড়াছড়ি ত্যাগ করেন। এরপর ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর একটি মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য খাগড়াছড়ি এলেও প্রশাসনের চাপের মুখে একদিনের মাথায় তিনি আবারও খাগড়াছড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর তিনি আর খাগড়াছড়ি এসেছেন বলে কোন তথ্য জানাতে পারেননি তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই খাগড়াছড়ি জেলায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এবং স্থানীয় সকল কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
১৯৮৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে বক প্রতীক নিয়ে সদস্য নির্বাচিত হবার মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়। পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশের স্বাধীণতা স্বার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা ও বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় নেতায় পরিণত হন। ১৯৯১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে খাগড়াছড়ির প্রতিনিধিত্ব করেন। একই বছরের ২৬ জুনের নির্বাচনে তিনি আবারও বিএনপি টিকিটে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে খাগড়াছড়ির প্রতিনিধিত্ব করেন। এসময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।