আ’লীগ নেতার সাথে অভিসারে না যাওয়ায়…..

http://i1.wp.com/newsevent24.com/media/uploads/2013/09/school.jpg 

ডেস্ক নিউজ:

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবদিন মামুনের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে না যাওয়ায় বাতসিরি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ও তার অভিভাবক স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো বিচার না পেয়ে গতকাল সকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের সামনে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ে।

জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবদিন মামুনের শ্যালক সাব্বির ও তার সহযোগীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে জোর করে রাস্তা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে দাগনভূঞা নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী এ টি এম শরীফ উদ্দিন আল-হারুনীর অফিসে নিয়ে যায়। এখানে সাত লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ছাত্রীকে বিবাহ করে।

পরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক মাস আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে রিকশাচালক বাবা আবদুল বারিকের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নেয়। ওই টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর গত ঈদুল ফিতরের আগে আবার ওই ছাত্রীকে সমাসপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়।

ঈদের পর ছুটি শেষে মেয়েটি স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়। অসহায় মেয়েটি মা-বাবাকে নিয়ে স্কুল সভাপতি জয়নাল আবদিন মামুনের কাছে গেলে তিনি এবং কমিটির অপর সদস্য মশিউর রহমান মিন্টু মেয়েটিকে তাদের সাথে গোপনে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তারা মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। এ ব্যাপারে সে শিক্ষামন্ত্রী, সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে।

পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি জেনে তিনি দাগনভূঞা থানা ওসির মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে শনিবার স্কুলে পাঠিয়েছেন। তবে নির্যাতিতা ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, মামুন ও তার সহযোগীদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

জয়নাল আবদিন মামুন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, ওই ছাত্রীকে তিনি স্কুলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন