এসএসসি পরীক্ষার সময় ফেসবুক ও মোবাইল ফোনে নজরদারি থাকবে

fec-image

আগামী ৩০ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুক ও মোবাইল ফোনে যে কোনো ধরনের গুজব, অনৈতিকভাবে তথ্য সরবরাহ বা আর্থিক লেনদেন নজরদারিতে রাখা হবে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটি সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পরীক্ষা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের গুজব বা অপতৎপরতা সৃষ্টিকারী চক্রগুলোর কার্যক্রম বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের জোর নজরদারি থাকবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীর কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অংকের অর্থ সন্দেহজনকভাবে লেনদেন হয়, তবে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।

এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১টায়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী বিলম্বে উপস্থিত হলে ওই পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্বের কারণ লিখিতভাবে রেজিস্টার বইয়ে উল্লেখ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সারাদেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ অন্য সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের পেজ দ্রুত বন্ধের জন্য ফেসবুকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রাখবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র পরিবহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এ ধরনের কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্নপত্র বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এসএসসি, পরীক্ষা, ফেসবুক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন