কক্সবাজারে পালিত হবে বিচ কার্নিভাল: ১০ লাখ পর্যটক সমাগমের আশা

fec-image

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পালিত হতে যাচ্ছে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই মেলাকে কেন্দ্র করে রয়েছে স্মরণকালের আয়োজন। থাকা-খাওয়া ভ্রমণসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে’ই ঘোষণা করা হয়েছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন এই এক সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুনীল জলরাশি মানেই মুগ্ধতার ছোঁয়া। বছরজুড়েই সৈকত ঘিরে থাকে ভ্রমণ পিপাসুদের আগ্রহ। এবার এই পর্যটন নগরীতেই বিশ্ব পর্যটন দিবসে হতে যাচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মেলা ও বিচ কার্নিভাল। আর এই কার্নিভালকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে লাবনী পয়েন্ট। মেলাকে কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। ফুটপাতে গড়ে তোলা হয়েছে দুই শতাধিক স্টল।

বিশ্ব পর্যটন দিবস ঘিরে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে ৭ দিনের জন্য দেয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড়। বাস ভাড়ায় ২০ শতাংশ আর খাবারে ১৫ শতাংশ কম অর্থ গুণতে হবে পর্যটকদের। এছাড়াও হেলিকপ্টার রাইড, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক, প্যারাসেইলিং, ছাতা চেয়ার, এমনকি গাড়ি পার্কিংয়েও থাকবে বিশেষ ছাড়। এতে আবাসন, খাবার, পরিবহনসহ সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ৫শ থেকে ৭শ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ছাড়ে’র মধ্য দিয়ে পর্যটকদের সেবা প্রদানে প্রস্তুত এই খাতের সংশ্লিষ্টরা।

বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, পর্যটন মেলা উপলক্ষে যে বিশেষ ছাড় রয়েছে। এই ছাড়ের মধ্যে কিছু কিছু অব্যাহত থাকবে যদি পর্যটন আগমন অব্যাহত থাকে। এছাড়া শুধু পর্যটন মেলায় সেবা দেওয়া হবে তাই নয়। এই সেবা থাকবে সারাবছর।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের আকর্ষণের বড় একটি অংশ দখল করে আছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়াল্ড। যেখাবে সমুদ্র তলদেশের মাছ প্রদর্শণ হয়। মেলা উপলক্ষে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের টিকেটে থাকবে ৫০ শতাংশ ছাড়। এছাড়াও থাকবে নানা সুযোগ-সুবিধা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, পর্যটকদের সেবায় অঙ্গিকারবদ্ধ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। খাবারের উপর ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া একটা নিয়ম রয়েছে আবাসিক ডবলরুমে ২ জন এবং সিঙ্গেল রুমে ১ জন থাকবে। পর্যটন মেলায় যদি চাপ পাড়ে তাহলে এই নিয়মটি ভাঙ্গা হবে। অথাৎ পর্যটকদের আপত্তি না থাকলে ডবল এবং সিঙ্গেলরুমে একাধিক পর্যটক থাকতে পারবে। এই সেবা সপ্তাহে পর্যটকদের সেবাটা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।

পর্যটন মেলার আহবায়ক ও কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, প্রতিবছর পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়। তবে গত বারের চেয়ে এবারের আয়োজন ভিন্ন এবং আরও বড়। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে সাত দিন ধরে প্রতিদিন মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে বিচ বাইক র‌্যালি, কনসার্ট, বিনামূল্যে সার্কাস প্রদর্শনী, জেট স্কি শো, আতশবাজি, ঘুড়ি উৎসব, ফায়ার স্পিন, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, ফানুস উৎসব, সাংসস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, রোড শো, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, বিচ ভলিবলসহ নানা আয়োজন। সমুদ্র সৈকতে থাকছে দুই শতাধিক স্টল। পর্যটন সেবার সবকিছু একটি পয়েন্টে প্রর্দশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবহণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রে রয়েছে আর্কষণীয় ছাড়। এই মেলার মধ্য দিয়ে পর্যটকদের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত সহ অন্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদার রাখবে।

পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল চলাকালে বিপুল পর্যটক আসার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকরা যে কোন অভিযোগ জানাতে চাইলে কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে ফোন করলেই সহযোগিতা করা হবে। কন্ট্রোলরুমের নাম্বার হল ০১৩২০১৬০০০০। এই নাম্বারে ফোন করলেই সহযেগিতা করা হবে।

কক্সবাজারে থাকা ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে ধারণ ক্ষমতা প্রায় দেড় লাখ। মেলায় ১০ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগমের আশা করছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
কিক বিচ কার্নিভাল: ১০ লাখ পর্যটকের সমাগমের আশংকা
টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে ১০ লাখ পর্যটক সমাগমের আশা

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পালিত হতে যাচ্ছে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই মেলাকে কেন্দ্র করে রয়েছে স্মরণকালের আয়োজন। থাকা-খাওয়া ভ্রমণসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে’ই ঘোষণা করা হয়েছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন এই এক সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুনীল জলরাশি মানেই মুগ্ধতার ছোঁয়া। বছরজুড়েই সৈকত ঘিরে থাকে ভ্রমণ পিপাসুদের আগ্রহ। এবার এই পর্যটন নগরীতেই বিশ্ব পর্যটন দিবসে হতে যাচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মেলা ও বিচ কার্নিভাল। আর এই কার্নিভালকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে লাবনী পয়েন্ট। মেলাকে কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। ফুটপাতে গড়ে তোলা হয়েছে দুই শতাধিক স্টল।

বিশ্ব পর্যটন দিবস ঘিরে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে ৭ দিনের জন্য দেয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড়। বাস ভাড়ায় ২০ শতাংশ আর খাবারে ১৫ শতাংশ কম অর্থ গুণতে হবে পর্যটকদের। এছাড়াও হেলিকপ্টার রাইড, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক, প্যারাসেইলিং, ছাতা চেয়ার, এমনকি গাড়ি পার্কিংয়েও থাকবে বিশেষ ছাড়। এতে আবাসন, খাবার, পরিবহনসহ সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ৫শ থেকে ৭শ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ছাড়ে’র মধ্য দিয়ে পর্যটকদের সেবা প্রদানে প্রস্তুত এই খাতের সংশ্লিষ্টরা।

বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, পর্যটন মেলা উপলক্ষে যে বিশেষ ছাড় রয়েছে। এই ছাড়ের মধ্যে কিছু কিছু অব্যাহত থাকবে যদি পর্যটন আগমন অব্যাহত থাকে। এছাড়া শুধু পর্যটন মেলায় সেবা দেওয়া হবে তাই নয়। এই সেবা থাকবে সারাবছর।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের আকর্ষণের বড় একটি অংশ দখল করে আছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়াল্ড। যেখাবে সমুদ্র তলদেশের মাছ প্রদর্শণ হয়। মেলা উপলক্ষে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের টিকেটে থাকবে ৫০ শতাংশ ছাড়। এছাড়াও থাকবে নানা সুযোগ-সুবিধা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, পর্যটকদের সেবায় অঙ্গিকারবদ্ধ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। খাবারের উপর ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া একটা নিয়ম রয়েছে আবাসিক ডবলরুমে ২ জন এবং সিঙ্গেল রুমে ১ জন থাকবে। পর্যটন মেলায় যদি চাপ পাড়ে তাহলে এই নিয়মটি ভাঙ্গা হবে। অথাৎ পর্যটকদের আপত্তি না থাকলে ডবল এবং সিঙ্গেলরুমে একাধিক পর্যটক থাকতে পারবে। এই সেবা সপ্তাহে পর্যটকদের সেবাটা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।

পর্যটন মেলার আহবায়ক ও কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, প্রতিবছর পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়। তবে গত বারের চেয়ে এবারের আয়োজন ভিন্ন এবং আরও বড়। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে সাত দিন ধরে প্রতিদিন মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে বিচ বাইক র‌্যালি, কনসার্ট, বিনামূল্যে সার্কাস প্রদর্শনী, জেট স্কি শো, আতশবাজি, ঘুড়ি উৎসব, ফায়ার স্পিন, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, ফানুস উৎসব, সাংসস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, রোড শো, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, বিচ ভলিবলসহ নানা আয়োজন। সমুদ্র সৈকতে থাকছে দুই শতাধিক স্টল। পর্যটন সেবার সবকিছু একটি পয়েন্টে প্রর্দশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবহণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রে রয়েছে আর্কষণীয় ছাড়। এই মেলার মধ্য দিয়ে পর্যটকদের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত সহ অন্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদার রাখবে।

পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল চলাকালে বিপুল পর্যটক আসার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকরা যে কোন অভিযোগ জানাতে চাইলে কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে ফোন করলেই সহযোগিতা করা হবে। কন্ট্রোলরুমের নাম্বার হল ০১৩২০১৬০০০০। এই নাম্বারে ফোন করলেই সহযেগিতা করা হবে।

কক্সবাজারে থাকা ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে ধারণ ক্ষমতা প্রায় দেড় লাখ। মেলায় ১০ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগমের আশা করছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, পর্যটক, বিচ কার্নিভাল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন