কাপ্তাইয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ৯ দিন পর হত্যার দায়ে মামলা

fec-image

রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ৯ দিন পর কাপ্তাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

সোমবার(২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় কাপ্তাই থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহত শিক্ষার্থী শেখ সাদিকুর রহমানের বড় ভাই মাহাবুবুর রহমান। কাপ্তাই থানায় মামলা নং-৩। নিহত শিক্ষার্থীর বড় ভাই কাপ্তাই থানায় লিখিত অভিযোগ করে যে তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার ভাই যেই ছাত্রাবাসের দোতলায় থাকতো। সেখানে জানালায় কোন গ্রীল কিংবা দরজা ছিলো না। এই জায়গাতে যে কোন ছাত্র গিয়ে যদি দাঁড়িয়ে কাপড় শুকাতে দেয় কিংবা বসে কথা বলে দুষ্টুমির ছলেও কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই অবাধ বিচরণ কিংবা অব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটির কতৃপক্ষের সামনেই হয়ে থাকে। অথচ তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তাদের অবহেলায়ে আমার ভাইয়ের এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং এর বিষয়েও তিনি ধারণা দেন যে, ওখানে সিনিয়রদের দ্বারা জুনিয়ররা র‍্যাগিং এর স্বীকার হতে পারে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি হতে জাহাঙ্গীর ছাত্রাবাসের আমার ভাই যাওয়ার সময় তার চোখে মুখে ছিল ভয় ও আতঙ্কের ছাপ। তার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখমের চিহ্ন রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে। সর্বোপরি আমি এবং আমার পরিবার আমার ভাইটির হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন হাওলাদার এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থানায় যেহেতু মামলা দায়ের করেছে তাই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

কাপ্তাই থানার ওসি (তদন্ত) নূরে আলম জানান, নিহতের বড় ভাই সোমবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে এবং আইনানুগ প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর কম্পিউটার সায়ন্সে এন্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের ৫৫ তম ব্যাচের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র শেখ সাদিকুর রহমান ছাত্রাবাসের দোতলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আইসিউতে থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুলাই সকাল ১০ টায় মৃত্যুবরণ করে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাপ্তাই, মামলা, মৃত্যু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন