ক্রীড়াঙ্গনে সুনাম বয়ে আনছে চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু

fec-image

চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু আত্মরক্ষা ও সুস্থ শরীরের তৈরির পাশাপাশি উপহার দেয় মাদকমুক্ত সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। উশু সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ জীবনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহস যোগায়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেকে আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যসহ অনেক ভাল অবস্থানে আছেন। এতে সামাজিকভাবে মান উন্নয়নের পাশাপাশি সচ্ছল হচ্ছে আর্থিকভাবে। উশু কক্সবাজারের ক্রীড়াঙ্গনে এনেছে নতুন মাত্র। উশু’র শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে একের পর এক বয়ে আনছে স্বর্ণ-রূপ্য পদক। এই অর্জন শুধু কক্সবাজারের নয় এটি পুরো দেশের।

সবার উচিত আন্তর্জাতিক মানের এই খেলা এবং খেলোয়াড়দের প্রতি যত্নবান হওয়া। এই খেলাকে আরো বেশি উন্নত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি সবসময় ক্রীড়ার সাথে আছি। তাই দিন দিন এগিয়ে যাওয়া উশু’র সার্বিক সহযোগিতায় সবসময় পাশে রয়েছি।

কক্সবাজার জেলা উশু অ্যাসোসিয়েশনের বেল্ট প্রদান উশু প্রদর্শনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল।

কক্সবাজার জেলা উশু অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান প্রশিক্ষক আন্তর্জাতিক উশু খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষক জিয়াউল হক জিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এড. জসিম উদ্দিন। কক্সবাজার জেলা উশু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শেখ সেলিমের সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে বেল্ট প্রদানের সাথে উশু প্রদর্শনীতে সার্বিক সহযোগিতা করেন জাতীয় খেলোয়াড় ও জেলা উশু অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী প্রশিক্ষক শিখা খাতুন। তিনি এই ক্লাবের পরিচালক জিয়াউল হক জিয়ার স্ত্রী। এই উশু দম্পতি নেতৃত্বে চমৎকার এক প্রদর্শনী উপহার দেয় আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শকদের।

এতে ব্ল্যাক বেল্ট প্রদান করা হয় ১১ জনকে। যেখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে স্বর্ণ-রূপ্য পদক প্রাপ্ত খেলোয়াররা ছিলেন। এছাড়া ব্রাউন বেল্ট পান ১০ জন, ব্লু-বেল্ট ৫ জন, গ্রিন বেল্ট ১০ জন, অরেঞ্জ বেল্ট ২৫ জন ও ইয়েলো বেল্ট পান ৩০ জন। এই শিক্ষার্থীদের বেল্টের সাথে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট। বেল্ট প্রদান শেষে আমন্ত্রিত অতিথি সহ সফল শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এই সংবর্ধনায় প্রধান বক্তা সাউথ এশিয়ান উশু ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন সহ বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরি, কক্সবাজার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট জ্যোতি নাগ, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও অল-মার্শাল আর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবির, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাঈন উদ্দিন মিলকী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অনুপ বড়–য়া অপু, বাংলাদেশ উশু ফেড়ারেশন ও আন্তর্জাতিক উশু বিচারক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, ক্রীড়াবিদ ও শিক্ষানুরাগী গিয়াস উদ্দিন কোম্পানি, আমেনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিনা কাসেম, সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমর চন্দ্র দেবনাথ, হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান, উপকূলীয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক জিয়া ও বাংলাদেশ উশু খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, ক্রীড়া, চাইনিজ মার্শাল আর্ট
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন