খাগড়াছড়িতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফ

1457086_534387513322207_204068688_n

স্টাফ রিপোর্টার, পার্বত্যনিউজ :

পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ‘র খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্যচিং মারমা এক যুক্ত বিবৃতিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে এসকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ‘র প্রচার ও প্রকাশনা সেলের মুখপাত্র নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে তারা বলেন, খাগড়াছড়িতে গত ৯ ও ১০ নভেম্বর পিসিপি‘র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজনে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-পিসিপি ১১ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালন করে। এ অবরোধ কর্মসূচিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশে পুলিশ খাগড়াছড়ি সদর থানা সহ বিভিন্ন থানায় ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা দায়ের করে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ইউপিডিএফের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা অনেকে সেদিন খাগড়াছড়িতে ছিলেন না, অবরোধের সাথেও তারা সম্পৃক্ত নয়। তারা বলেন সেদিন ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান অবরোধের সময় চট্টগ্রামে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ মামলা দায়েরের ঘটনাকে আওয়ামীলীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহি:প্রকাশ উল্লেখ করে বলেন, সরকার জনসমর্থন হারিয়ে পাহাড়ি জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

বিবৃতিতে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক মহালছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের উপর হামলা, পানছড়িতে ৩টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটার অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উল্টো ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বলেন, সরকার ও প্রশাসন যদি মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় ও আন্দোলন দমনের চেষ্টা করে, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ তার সমুচিত জবাব দেবে। তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন