খাগড়াছড়িতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

fec-image

খাগড়াছড়িতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের এডিএম খন্দকার রেজাউল করিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মো: রহিস উদ্দিনসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিজস্ব ভবনের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বাসন্তী চাকমা এমপি বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের বিষয় জানে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে সচেতন করে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

প্রসঙ্গত: ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মহকুমা ও বর্তমানে জেলা খাগড়াছড়ি হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন এ অঞ্চলের সাব-ডিভিশন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন খাগড়াছড়ি মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে খাগড়াছড়িকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন। সেই দিন থেকে খাগড়াছড়িতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে।

১৪ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি’র ভাইবোনছড়ায় প্রতিরক্ষা ঘাঁটি রেখে ক্যাপ্টেন অশোক দাসগুপ্ত ও দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী প্রায় দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার ফাইটিং ফোর্স নিয়ে খাগড়াছড়ি সদরের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। কুকিছড়া অতিক্রম করে গাছবান পা রাখার সাথে সাথেই উঁচু পাহাড় থেকে পাক বাহিনী ও তাদের দোসর মিজোরা গুলি বর্ষণ করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে টিকতে না পেরে মিজো ও পাক সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের দিন সকালে ক্যাপ্টেন অশোক দাসগুপ্তের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভাইবোনছড়া থেকে খাগড়াছড়ি পুরো এলাকাকে শক্রমুক্ত ঘোষণা করে তৎকালীন খাগড়াছড়ি মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে খাগড়াছড়ি অঞ্চলকে শক্রমুক্ত ঘোষণা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, হানাদার মুক্ত দিবস
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন