খাগড়াছড়ি শহরের দুই-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে গেছে

20.08.2015_Khagrachari WATER News.....

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

কয়েকদিনের ব্যাবধানে আবারো পানির নিচে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ি জেলা শহর ও আশেপাশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা। দুই দিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে জেলা শহরের মুসলিম পাড়া, শান্তি নগর, মেহেদী বাগ, রূপ নগর, খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনাল, জিরো মাইল, চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী গঞ্জপাড়া, আরামবাগ, অর্পণা চৌধুরী পাড়া, শান্তি নিকেতন এলাকা, তালুকদারপাড়া, খবং পড়িয়া, নয়নপুর, ভাঙ্গাব্রীজের দক্ষিণাংশসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে টুই-টুম্বুর। ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে এসব এলাকায়। অনেকেই ঘরের প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার পরিবার। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে গৃহপালিত প্রাণী, ডুবে গেছে বসতবাড়ী, পানির নিচে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, ব্রীজ-কালভার্ট, বাসটার্মিনাল, সরকারী-বেসরকারী অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। শহরে পানি বাড়ার কারণে আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নিয়েছেন জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম।

20.08.2015_Khagrachari WATER News...স্থানীয়রা জানান, বন্যার পাশাপাশি টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে জেলা শহরের একাধিক এলাকা। পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের সরে আসার জন্য জেলা শহরে মাইকিং করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: মেহেদী হাসান হেলাল জানান, শান্তিনগর, কলেজ পাড়া, খবংপড়িয়া, বাসটার্মিনাল এলাকার বন্যা ক্ষতিগ্রস্তরা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে আশ্রয় নিয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌর কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ হাজার পরিবারকে রাতে খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।

৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাসুদুল হক তার ওয়ার্ডে ৮টি এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়ে কমপক্ষে ২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবী করে জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ ও কারিগরী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন