গণধর্ষণের ঘটনায় রাঙামাটিতে বিতর্কিত হোটেল পাহাড়িকার লাইসেন্স বাতিল করলো প্রশাসন
আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
অবশেষে রাঙামাটি শহরের আলোচিত হোটেল পাহাড়িকার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ হোটেল পাহাড়িকা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল এখবর নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, অসামাজিক কার্যকলাপ ও আইন লঙ্ঘনের কারণে হোটেল পাহাড়িকার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। পুলিশ হোটেলটি বন্ধ করে দিবে।
হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমেদ জানান, হোটেল পাহাড়িকার লাইসেন্স বাতিলের খবর পেয়েছি আমরা। গত ৪ অক্টোবর হোটেল পাহাড়িকায় চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা এক নব দম্পতির উপর গণধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শহরবাসী ও প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী মহল থেকে এ ঘটনার বিচার ও হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি উঠে। নির্মম এই ঘটনার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। পার্বত্যাঞ্চলে আগত পর্যটকরা মুখ ফিরিযে নিতে শুরু করায় প্রভাব পড়ে রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসায়।
গণধর্ষনের ঘটনায় ৫জনকে আসামী করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত রফিকুলইসলাম আটক থাকলেও বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাঙামাটির এএসপি (সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেছে পুলিশ। হোটেল পাহাড়িকার লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক আবাদিক হোটেলের লাইসেন্স প্রদান ও বাতিলের ক্ষমতা রাখেন।
এদিকে রাঙামাটিতে এই নির্মম গণধর্ষণের ঘটনায় প্রথম একটি আবাসিক হোটেলকে কোনো প্রকার সুপারিশের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করে হোটেলটি বন্ধ করে দেওয়ায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাঙামাটিবাসি।