চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ড : সাতটি বসতঘর পুড়ে ছাই

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্টি হওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে বসতঘরে থাকা বিভিন্ন মালামাল পুড়ে অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ পরিবার খোলা আকাশের নিচে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোররাত চারটার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের হাজিপাড়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রসিদ অগ্নিকাণ্ডে ৭টি বসতঘর পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আবুল কাশেম মাঝির বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তবে পুড়ে যাওয়া বাড়ি গুলো একটার সাথে আরেকটা লাগোয়ার কারণেই মুহূর্তে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসব বসতঘরে আলাদা ভাবে ১৩টি পরিবার বসবাস করতো।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সদস্যরা জানায়, শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড হাজীপাড়া পাড়া এলাকার আবুল কাসেম মাঝির বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আকস্মিক ভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী অন্যান্য বসতঘরের চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১৩টি পরিবারের সদস্যরা অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রাণে রক্ষা পেলেও বাড়িতে মজুদকৃত ধানসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই বিদ্যুতের সংযোগ লাইন বন্ধ হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল ইসলাম দাবি করেছেন এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৩ পরিবারের অন্তত ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এসময় সবাই ঘুমে মধ্যে ছিল। আগুন দেখে তাড়াহুড়ো করে শিশু নারী-পুরুষ বসতঘর থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ায় কেউ আহত হয়নি। তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে বলে তিনি জানান।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ দলিলুর রহমান বলেন, আগুনে পুড়ে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। বসতঘর থেকে কোন কিছু বাহির করতে পারেনি।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ইউপি সদস্যদের ডেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বাড়ি থেকে কোন ধরনের মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ভোররাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে সকালে উঠেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার, কম্বল ও কাপড় তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকাণ্ড
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন