চকরিয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম, ৬ জন গ্রেফতার
চকরিয়া প্রতিনিধি :
চকরিয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটে সন্ত্রাসীরা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী পাপিয়া সুলতানা প্রিয়াকে প্রায় সময় উত্যাক্ত করে আসছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে বোনকে উত্যাক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের হামলায় গুরুতর আহত হয় ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্র রকিবুল ইসলাম হৃদয় (১২) ও তার বোন একই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী পাপিয়া সুলতানা প্রিয়া (১৩)। তারা দুই জনই ফাসিয়াখালী রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী গ্রামের মো. শাহ আলমের সন্তান। এ ঘটনায় ওইদিনই আক্রান্ত পরিবারের পক্ষ থেকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন দুই শিক্ষার্থীর মা আমেনা বেগম। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওই বখাটেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী গ্রামের মো. হানিফের পুত্র মো. ইব্রাহিম ও মো. ইসলাম, মোহাম্মদ আলীর পুত্র বোরহান, মো. এরফান ও মো. আরমান উদ্দিন, মৃত আবদু ছালামের পুত্র মোহাম্মদ আলী ও আবুল হোসেন, মো. হানিফের স্ত্রী জন্নাত আরা বেগমকে।
মামলার বাদী আমেনা বেগম জানায়, তার মেয়ে পাপিয়া সুলতানা প্রিয়াকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় দীর্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী বখাটেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত তা আমলে নিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে মামলা হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বখাটে যুবকরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে তার স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের অপহরণসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। এরজের ধরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় তার সন্তানরা স্কুলে যাওয়ার পথে হত্যার চেষ্টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আলোকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালে অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত মো. ইব্রাহিম, মো. ইসলাম, মো. এরফান, মো. আরমান উদ্দিন, আবুল হোসেন ও জন্নাত আরা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।