চকরিয়ায় মামলা আপোষের কথা বলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

fec-image

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে মামলা আপোষ দেয়ার কথা বলে কৌশলে স্বাক্ষর আদায়ের পর ফের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুপের পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বনকর্মীদের বিরুদ্ধে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে বাদি হয়ে দায়েরকৃত একটি মামলা প্রত্যাহার করা হলেও কৌশলে বনবিভাগের দুইটি মামলায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলেদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় চকরিয়া উপজেলা ও কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুপ বলেন, তাঁর মেয়ে হারবাং বাজারের পাশে ক্রয়কৃত রির্জাভ জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস করতেন। কিন্তু স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে হারবাং বনবিটের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে বসতঘর থেকে উচ্ছেদে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে বনকর্মীদেরকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়ার পরও আরো টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় তিনি (মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুপ) বাদি হয়ে ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় হারবাং বনবিট কর্মকর্তা রউফুল ইসলাম, চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা (ইতোমধ্যে বদলী) এসএম নুরুর রহমান ও বনপ্রহরী নাছির উদ্দিনসহ তিনজনকে।

মুক্তিযোদ্ধা ইউছুপ বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক তদন্তের জন্য চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জিআরওকে নির্দেশ দেন। এরপর তিনি বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মামলাটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরপর বনবিভাগের পদুয়া রেঞ্জের এসিএফ আমাকে ঢেকে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আপনার মামলাটি প্রত্যাহার করে নিলে পরবর্তীতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে আপনার ছেলেদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা গুলো প্রত্যাহার অথবা মামলা থেকে আপনার ছেলেদেরকে অব্যাহতি দেয়া হবে।

মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুপ বলেন, বনবিভাগের পদুয়া রেঞ্জের এসিএফের অনুরোধে আমি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। কিন্তু অব্যাহতি পত্র লেখার পরও হারবাং বনবিট কর্মকর্তা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বন মামলা ১৪০/১৮, ১৬১/১৮ ও ১৬৩/১৮ মামলাটি তিনটি এখনো প্রত্যাহার কিংবা অব্যাহতি দেয়নি।

এ অবস্থায় মামলাগুলোর মাধ্যমে আমার পরিবার সদস্যদেরকে নতুন করে হয়রাণি করা হচ্ছে। আমি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বনবিভাগের প্রধান বনসংরক্ষক, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনসংরক্ষক ও চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় বিষয়টির আলোকে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবো।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বনবিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন