জমে উঠেছে দীঘিনালার ঈদ বাজার: ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে

Eid Market

দিদারুল আলম রাফি, দীঘিনালা প্রতিনিধি:

ঈদ মানে আনন্দ! মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আনন্দ হচ্ছে ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের কেনাকাটা জমে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা। ঈদ আনন্দের বৃদ্ধির জন্য নতুন কাপড়, জুতা এবং প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে ক্রেতারা ভীড় করছেন।

তাই সব শ্রেণীর মানুষের নতুন কিছু একটা না হলে যেন ঈদই হয় না এবং প্রথম দিকে কেনাকাটা করলে সবকিছুই সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় এমন ভরসায় অনেকে রোজার প্রথম থেকেই কেনাকাটা শুরু করেন। দুই সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে উপজেলা শহরের সর্বত্র ঈদের বাজার জমে উঠেছে।

বড় বড় দোকান থেকে শুরু করে ছোট দোকান কোথাও কমতি নেই ক্রেতাদের উপস্থিতি। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে নতুন কিছু কেনার জন্য ছুটছেন ক্রেতারা। দীঘিনালার সবচেয়ে বড় বাজার বোয়ালখালিতে (নতুন বাজার) ঈদ বাজার করতে দূর দূরান্ত থেকে ছোট বড় সবাই ছুটে আসছেন এখানে। এছাড়া, উপজেলা সদরের দীঘিনালা বাজার, মেরুং বাজার, বাবুছড়া বাজার গুলোতেও ঈদ বাজার জমে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বোয়ালখালি’র (নতুন বাজার) নাছির ক্লথ, বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস, বিগ স্টার ফ্যাশন, মুন্নি স্টোর, মা গার্মেন্টস, ফ্যাশন মেলাসহ বেশকিছু বড় দোকানগুলোতে বসার স্থান পাচ্ছেন ক্রেতারা। দোকানগুলোতে রয়েছে নতুন ফ্যাশন ও আধুনিক ডিজাইনের পোশাক ও অলংকার সামগ্রি, মহিলাদের
নানা বাহারি শাড়ি, কাতান, ব্লক, জামদানি, টিসু, কোটা ও মসলিনের শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়া, ছেলেদের আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, বাচ্চাদের নানা ডিজাইনের পোশাক। কাতান শাড়ী পাওয়া যাচ্ছে তিন থেকে চার হাজার টাকায়, জামদানি শাড়ী এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা, নেট টিসু শাড়ী পাওয়া যাচ্ছে
দুই থেকে সাত হাজার টাকায়। লেহেঙ্গা পাওয়া যাচ্ছে দুই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। মেয়েদের থ্রী পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এবার মেয়েদের জন্য স্পেশাল ড্রেস ‘পাখি’ থ্রি পিছ পুরো বাজার দখল করে রেখেছে। পাখি থ্রি পিছ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের বাজারে কাপড়ের দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে। নির্ধারিত বাজেটে কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা রিতিমত হিমসিম খেলেও সাধ্যমত নতুন কাপড় কিনে বাড়ী ফিরছেন।

এদিকে বিক্রেতারাও বলছেন, ঈদের আর অল্পকিছু দিন বাকি থাকায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত বেচাবিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দোকানীরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন