টেকনাফে অপহৃত তিন লাশের ঘটনায় মূলহোতাসহ আটক ৪

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রোহিঙ্গাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫ এর সদস্যরা। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের আবু সামাদের ছেলে সৈয়দ হোসেন প্রকাশ সোনালী ডাকাত, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে এমরুল করিম প্রকাশ ফইরা।

র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে যান কক্সবাজারের মো. আলমের ছেলে জমির হোসেন রুবেল। টেকনাফের রাজারছড়া এলাকা থেকে দুই বন্ধু ইমরান ও ইউসুফসহ রুবেলকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। পরদিন রুবেলের ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃতদের নির্যাতনের ভিডিও পাঠায় অপহরণকারীরা। ভিডিওতে এক অপহরণকারীর চেহারা দেখা যায়। খবর পেয়ে র‌্যাব অভিযান শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব জানতে পারে, অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা রোহিঙ্গা সৈয়দ হোসেন প্রকাশ সোনালী ডাকাতসহ বাকিরা হাবিরছড়া দুর্গম এলাকায় অবস্থান করছে। গত ২৪ মে সেখানে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা সোনালী ডাকাতকে গ্রেফতার করে। ঐ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে টেকনাফের তুলাতলী ঘাট এলাকা থেকে অপহরণকারী চক্রের আরেক সদস্য এমরুল করিম প্রকাশ ফইরকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা সোনালী ডাকাত জানায়, অপহৃতদের গুলি করে হত্যার পর পাহাড় থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। সেখান থেকেই অপহৃত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করা হতো। এরপর মুক্তিপণ না পেলে হত্যা করে পাহাড় থেকে ফেলে দিতো।

গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা সৈয়দ হোসেন প্রকাশ সোনালী ডাকাত ও এমরুল করিম প্রকাশ ফইরকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ, লাশ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন