টেকনাফে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লবণ চাষীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

বৈরী আবহাওয়া এবং বার বার অসময়ে বৃষ্টি হওয়ার পর ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে লবণ চাষীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।

১৮ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্য মাত্রাকে সামনে রেখে টেকনাফ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৩ হাজার ১শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে পুরোদমে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে উপজেলার ৩ হাজার ৫শ’ ৩৫ লবণ চাষী।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) টেকনাফ লবণ কেন্দ্রের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে কক্সবাজার জেলায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। এখন লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে লবণের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

টেকনাফ পৌরসভাসহ হোয়াইক্যং, হ্নীলা, বাহারছড়া, টেকনাফ সদর, সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপে নাফ নদীর উপকূলে ৩ হাজার ১শ’ ৮০ হেক্টর লবণ মাঠে চলছে উৎপাদন।

বিশেষ করে শাহপরীর দ্বীপে বেঁড়ীবাঁধ জোড়া লাগার পর চাষীরা নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করে যাচ্ছেন।

গত বছর লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ৭৪ হাজার মেট্রিক টন। এবারে লবণ মৌসুম শুরু হওয়ার পর প্রথম দুই দফায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও শেষের বার ৫ ও ৬ মার্চ মাঝারী এবং ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে লবণ মাঠের প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। তাছাড়া লবণ উৎপাদন ১ সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। বৃষ্টির পর বর্তমানে পুরো দমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও টেকনাফের নাফনদী ও সাগর উপকূলীয় এলাকায় লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। জাতীয়ভাবে লবণের চাহিদা মেটাচ্ছে এসব উপকূলীয় এলাকা। পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত থেকে লবণ আমদানি না হলে লবণ চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চাষীরা।

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজারে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লবণ চাষীরা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন