তালাকনামায় স্বাক্ষর দিলেন হৃদয় খান- সুজানা
বিনোদন ডেস্ক:
আলোচিত গায়ক ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খান সাড়ে তিন বছর তার ভালবাসার কথা জানিয়ে গত বছরের ১ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন ভালোবাসার মানুষ মডেল ও অভিনেত্রী সুজানাকে।
কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই কি এমন হল যে বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত এতো সহজেই নিয়ে নিলেন। এই বিষয় নিয়ে সুজানা কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে:
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়নের শুরু হয়। প্রথমে এতো গুরুত্ত না দিলেও পরে বিষয়টি চরম আকার ধারণ করে। তাই কয়েকমাস ধরে আলাদা থাকছিলেন সুজানা-হৃদয়। আবশেষে আজ সোমবার ঢাকার মণিপুরিপাড়ায় একটি কাজি অফিসে গিয়ে তালাকনামায় সাক্ষর করেছেন হৃদয়। সুজানাও সাক্ষর করেছেন তালাকনামায়।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সুজানা বলেন, বিয়ের আগে ভালোবাসার কথা খুব বলতো। কিন্তু বিয়ের পর পুরোই বদলে গেছে হৃদয়। অনেক পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে। সে আমাকে, আমার পরিবারকে অসম্মানের চোখে দেখে। সে তো নিজেই পরিবার থেকে আলাদা থাকতো। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি মানিয়ে নিতে কিন্তু একটা সময় সব সীমা অতিক্রম করেছে সে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনের মিল থাকাটা অনেক জরুরি। যেটা প্রথম দিকে ছিল হৃদয়ের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আর মিল হচ্ছিল না আমাদের। আর আমি কখনও মিডিয়াতে বলিনি যে আমি বিয়ে করতে চাই হৃদয়কে। এটা কেউ বলতে পারবে না। আমি হৃদয় এর চেয়ে অনেক ম্যাচিউরড। আমার পরিবার রাজি ছিল বলেই আমি রাজি হয়েছি। এখন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব আমার পরিবারের কথায়। কারণ তারাই আমার ভালো চান। তবে একটা কথা ভেবে পাচ্ছি না এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত হৃদয় কিভাবে এতো সহজে নিতে পারলো। যেহেতু তার সাথে আমার মিল হচ্ছিল না তাই পরিবারের সিদ্ধান্তে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে দোয়া করি হৃদয় যেন ভালো থাকে সবসময়।’
অন্যদিকে সুজানা, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদেকে প্রথম বিয়ে করে। সুজানার সে বিয়ে টিকে মাত্র তিন মাস। হৃদয় খান তাদের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে যেন কিছুই জানাতে চান না।