‘তিন পার্বত্য জেলায় চাকমাদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে ষড়যন্ত্র করছেন দীপঙ্কর তালুকদার’
জমির উদ্দিন
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বান্দরবানের সাংসদ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে নেমেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবর রহমান।
রবিবার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সংম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম বহিভ’তভাবে দীপংকর তালুকদার জেলা পরিষদ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশ কাটিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নামে-বেনামে খাদ্যশস্য বরাদ্দ দিয়েছেন। বীর বাহাদুর এমপিকে পরাজিত করে তিন পার্বত্য জেলায় চাকমাদের একক আধিপত্য বিস্তার করতেই নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করছেন প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার । এসময় বান্দরবানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন তিনি।
পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মো. আলমগীর হোসেনের তদন্ত রিপোর্ট ও গত ২২জুন একটি জাতীয় পত্রিকায় বান্দরবানে চাকপাড়ায় আদিবাসী উচ্ছেদের সত্যতা মিলেছে শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করে বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাদুর ঝিড়ি চাক পাড়া থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হয় নাই। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ক্যউসিং মার্মা জবর-দখলকৃত ৫’শ একর ভূমি বহিরাগত ভুমিদুস্যদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আর দোষ পড়েছে আওয়ামীলীগের উপর।
পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, এ রিপোট পার্বত্য মন্ত্রীর নির্দেশে করা হয়েছে। পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর ও আওয়ামীলীগকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন।
আর্থিক সংকটের কারনে তারা প্রত্যেকে দখলীয় খাস পাঁচ (৫.০০ একর) একর পাহাড়ি ভুমি বিভিন্ন জনকে বিক্রি করেছেন। এসময় বাদুর ঝিড়ি চাক পাড়ার বাসিন্দা অংসানু চাক ও অংসাগ্যা চাক উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, জনসংহতি সমিতি, বিএনপি ও জামায়াত নেতারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন।