দীঘিনালায় ভূমি রক্ষা কমিটির গণঅনশন কর্মসূচিতে বাধাদানের অভিযোগ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটি ও দীঘিনালার সুশীল সমাজের উদ্যোগে আয়জিত গণঅনশন কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী বাধাদান করেছে বলে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটি।
বুধবার (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি ও ৫ নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পরিতোষ চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক ধর্মজ্যোতি চাকমা এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বছর ১৪ জুন দীঘিনালা মৌজার যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া ও শশী মোহন কার্বারী পাড়া থেকে ৫১ নং বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হামলায় যে ২১ পরিবার পাহাড়ি উচ্ছেদের শিকার হয়েছিলেন তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবির সমর্থনে ভূমি রক্ষা কমিটি ও দীঘিনালার সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে এক প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচির আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভোর ৫টা থেকে সকল প্রকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তল্লাসী চৌকি বসিয়ে বিভিন্ন স্থানে তল্লাসী চালানো হয়। জনমনে আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির করা হয় যাতে জনগণ গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে না পারে। যার ফলে পূর্ব নির্ধারিত আমাদের গণঅনশন কর্মসূচি ভণ্ডুল হয়ে যায়।’
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারি না করা সত্ত্বেও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যেমন- উপজেলা সদর, সদর এলাকার চৌমুহনী, থানা বাজার, পাবলাখালী ব্রিজ, মেইন ব্রিজ, নারিকেল বাগান, শান্তিপুর, কৃপাপুর, দীঘির পাড়, বড়াদম, দক্ষিণ পুকুরঘাট, উদোলবাগান ও বাবুছড়া বাজারে তল্লাসী চৌকি বসিয়ে তল্লাসী চালানো শুধু বেআইনী নয়, এটা জনগণের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং সংবিধানের মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থি। এটা সরকারের ফ্যাসিস্ট মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ বলে নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।’
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন কার্যক্রম বাতিল করে বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার, শশী মোহন কার্বারী পাড়া ও যত্ন কুমার কার্বারী পাড়ায় জেলা প্রশাসনের অবৈধ জমি অধিগ্রহণ বাতিল করে উচ্ছেদকৃত ২১ পাহাড়ি পরিবারকে স্ব স্ব জমি ও বসতভিটা ফিরিয়ে দেয়া এবং বিজিবি’র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।