Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

ধরা ছোয়ার বাহিরে বাঁশখালীর জলদস্যু সরদার হারুনর রশিদ

Untitled-1 copy

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া-মাতারবাড়ী চ্যানেলের অদূরে বঙ্গোপসাগরে রবিবার কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ১৩ জলদস্যুকে আটক করে। এসময় লুট হওয়া ট্রলারসহ অপহৃত ৭ মাঝি-মাল্লা ও ডাকাতদের ব্যবহৃত বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বরাবরই ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে এসব জলদস্যুদের সরদার হারুনর রশিদ।

যার দেওয়া অস্ত্র-গুলি ও বোট ব্যবহার করে ডাকাতি করা হয়েছে। এ হারুনর রশিদের বিরুদ্ধে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। ডাকাতি ছাড়াও একাধিকবার জেল ফেরত এ হারুনর রশিদ এলাকায় ভূমি দখল, স্বর্ণ ব্যবসা ও মানবপাচারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে।

কোস্টগার্ডের হাতে ডাকাত দল আটক হওয়ার পর থেকে হারুনর রশিদ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার লোকজন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে এবং ডাকাতির প্রবনতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় জনগণের।

হারুনর রশিদ হলেন, বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের তুতুকখালী বলি বাজার গ্রামের মোস্তাক আহম্মদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে  বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, মহেশখলী ও চট্টগ্রাম নারী কোর্ডে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। তিনিই বাঁশখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর ডাকাত দলের বিশাল এক সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন।

রবিবারে কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ১৩ ডাকাতের মধ্যে ৯ জনই হচ্ছে হারুনর রশিদের এলাকার বাসিন্দা। আর তাদের সরদার হলেন হারুনর রশিদ। এসব ডাকাত আটক হওয়ায় এলাকাবাসি খুশি হয়েছে। আর তাদের প্রত্যাশা এ ডাকাতদের সূত্র ধরেই দলের প্রধান হারুনর রশিদকেও আটক করা হবে। কিন্তু তিনি আজ অবধি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর ত্রাসের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনটাই বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় জনগণ। এ অবস্থায় এলাকাবাসি প্রতিনিয়ত আতঙ্কিত ডাকাত সরদার হারুনর রশিদের কারণে।

তারা আরও বলেন, হারুনর রশিদের আয়ের মূল উৎস্য হচ্ছে ডাকাতি। ডাকাতি ছাড়াও তিনি এলাকায় মাদক ব্যবসা, অবৈধ স্বর্ণ ব্যবসা, ভূমি দখল ও মানব পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, আটক ১৩ ডাকাতদের মধ্যে ৯ জনই হচ্ছে বাঁশখালীর বাসিন্দা। এসময় অপহৃত ৭ মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করা হয়। আর উদ্ধার করা হয় ডাকাতদের ব্যবহৃত দেশীয় তৈরি ৩টি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ১০টি চাপাতি, ১০টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৬ হাজার টাকা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ডাকাতের ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে এ মুহুর্তে তিনি হারুনর রশিদদের বিষয়ে জানেন না। তিনি জেনে জানাবেন।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী সংসদ সদস্য মোস্তাফির রহমান চৌধুরী’র (এমপি) কাছে জানতে চাইলে তিনি নিশ্চিত করেন হারুনর রশিদ এলাকার চিহ্নিত ডাকাত সরদার। এছাড়া তিনি স্বর্ণ ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন