নাইক্ষ্যংছড়িতে চাঁদের গাড়ি পাহাড়ি খাদে, নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২জন আহত

Sodok Dorgotona

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি-সোনাইছড়ি সড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি বাজার থেকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোমখোলা এলাকায় যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে সাতজনকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আরো কমপক্ষে নয়জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে জোমখোলা এলাকার কমপক্ষে ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ উপজেলা সদরে কেনাকাটা করতে যায়। কেনাকাটা শেষে চাদেঁর গাড়িযোগে নিজ গ্রামে ফেরার পথে জারুলিয়াছড়ি এলাকায় উঁচু পাহাড় অতিক্রম করার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়।

এসময় চাঁদের গাড়িতে থাকা যাত্রীরা বিভিন্ন দিকে ছিটকে পড়ে। আহতদের চিৎকারে পার্শ্ববতী লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িসহ যাত্রীবাহী বিভিন্ন পরিবহণে তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পলাশ চৌধুরী মুমূর্ষু অবস্থায় জাফর আলম (৩৬), মায়েচিং মার্মা (২৮), মেমাং মার্মা (৩৫), দা অং মার্মা (৪০), উচিং মার্মা (২০), মং হাই মার্মাকে (২৫) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এছাড়াও আহত হ্লাচিং মে মার্মা (১৫) অংকিউ মার্মা (৫০), আবদুল মজিদ (৪৫), উহ্লাচিং মার্মা (১২), ক্যাচিংমে মার্মা (২৫), মাকিউ মার্মা (৫৫) কে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে জাফর আলম ছালামীপাড়া এবং অন্যরা সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোমখোলা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক উক্যচিং মার্মা জানান, চাদেঁর গাড়িটি জারুলিয়াছড়ি মধ্যবর্তী উচু পাহাড় উঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্তত একশত ফুট নিচে পড়ে যায়। গাড়ীটি রাস্তার পাশ্ববর্তী গাছের বল্লির সাথে বাধা না পেলে বহু লোক আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে তিনি জানান।

সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে যান জেলা পরিষদ সদস্য ক্যউচিং চাক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াৎ মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তসলিম ইকবাল চৌধুরী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সৈয়দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

দুর্ঘটনার বিষয়ে বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম শাহেদুল ইসলাম বলেন একটি আধুনিক হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স না থাকা খুবই দু:খজনক।

দুর্ঘটনায় মুমূর্ষুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজিবির অ্যাম্বুলেন্সসহ নির্বাহী অফিসারকে বহনকারী সরকারী গাড়িটি সহায়ক ভূমিকা পালন করায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন