নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা মাদরাসার মুহতামিমের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন

fec-image

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রথম কওমী আকিদার চাকঢালা বড় মাদরাসার মুহতামিম ও হাজারো আলেমের শিক্ষক মাওলানা আলী আকবরকে হত্যার উদ্দ্যেশে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এক বিশাল মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।

বুধবার ( ১০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় হামলার শিকার মাওলানা কতৃক ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত চাকঢালার মাদরাসা ইসলামীয়া হামিউচ্ছুন্নাহ ও এতিমখানা গেইট এলাকায় করা এ মানববন্ধনে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কারী ছৈয়দ নূর, ব্যবসায়ী ডা. ফরিদুল আলম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি
ডা. আবদুর রহিম, অত্র মাদরাসা শিক্ষক মৌলানা ছাবের আহমদ, মৌলানা শফিক আহমদ, কৃষক লীগের সদর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী রশিদ আহমদ, মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আবদুর রহমানসহ পক্ষ-বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মি,সমাজপতি, ইমাম ও ব্যবসায়ী প্রমুখ।

ঘটনার বিষয়ে মাওলানা একমাত্র ছেলে মৌলানা আতাউল্লাহসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ জানুয়ারি বেলা ১২টার দিকে মানুষ জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সুবাদে স্থানীয় যুবদল নেতা আবদুল আলম ও তার ভাই আবদুল গফুরের নেতৃত্বেদল মাওলানা আলী আকবরের জমি দখলে নিচ্ছিলো স্থানীয় গয়ালকাটার মৌলবী ছড়া এলাকায়। খবর পেয়ে মৌলানা আলী আকবর ভাড়া মোটরবাইক নিয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে গেলে দখলবাজ আবদুল আলম গং তেলে বেগুনে ক্ষেপে গিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রথমে এই ৮১ বছর বয়সী মৌলানার দাঁড়ির গোছা ধরে জোরে জোরে টান দিয়ে মোটরবাইক থেকে টেনে-হিঁছড়ে নামিয়ে মারতে থাকলে তার অনেক দাঁড়ি গোড়া থেকে উঠে গিয়ে মাঠিতে পড়ে যায়। এভাবে হামলার পর তিনি মাঠিতে লুটিযে পড়লে তার বুকের উপর লাথি-ঘুষি মারতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এ হিস্র দলটি একপর্যায়ে তাকে দা দিয়ে জবেহ করতে উদ্যত হয়। ওনার চিৎকার শুনে ৩ জন লোক এগিয়ে আসে। এ সময় মৌলানা আলী আকবর অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

দফায় দফায় হামলার পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সেই ৩ পথচারী মোটরবাইক চালক, জয়নাল কৃষক জহির ও ফরিদুল আলম।

এ প্রতিবেদকের কাছে সেই ৩ ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ক্যাউচিং চাক বলেন, ঘটনাটি সত্য ও ন্যাক্কারজনক। একজন ধর্মপ্রচারককে এভাবে হেনস্তা করা কোন সভ্য জাতির পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না। এ ঘটনার কঠোর শাস্তি দরকার। নয়তে পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হবে।

এ দিকে মানববন্ধনে উপস্থিত সকলের দাবি, হাজার আলেমের শিক্ষক, চাকঢালা বাজার চৌধুরী ও বিজ্ঞ নিকাহ রেজিস্ট্রার মুহতামিম মৌলানা আলী আকবের উপর হামলাকারীদের অতিসত্তর প্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এলাকাবাসী রাজপথে নামবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন