নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক কাটেনি, পরিস্থিতি থমথমে!

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অধিকাংশ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখা ও পাঠানো পর্যন্ত কোনাপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের কিছু ঝুপড়ি ঘর।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় ঘটেছিল। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শিবিরেও জ্বলছিল আগুন।

রাতে আগুন বন্ধ থাকলেও শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আবারও আগুন জ্বলছিল বাকি ঘরগুলোতে।

স্থানীয়দের দাবি কোনাপাড়া আশ্রয় শিবিরের সবগুলো ঘর সন্ত্রাসীরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে এঘটনায় কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যান্য দিনের তুললায় উখিয়ার বালুখালী টিভি টাওয়ার, উখিয়ার ঘাট কাস্টমস সংলগ্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বেশি ছিল বলে বিভিন্ন গোয়ান্দা সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৫৩০টি বসতঘর ছিল। সেখানে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন।

তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদের স্ত্রী আরেফা বেগম জানান , হঠাৎ একদল মুখোশধারী এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর ছেলে-মেয়ে নিয়ে পালিয়ে আসি।

কিছু রোহিঙ্গা কুতুপালং আশ্রয় শিবিরের দিকে আর কিছু মায়ানমারের অভ্যন্তরে এবং বাকিরা তুমব্রু এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শূন্যরেখার পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছে। রোহিঙ্গারা শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-৩৪) অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: তুমব্রু, নাইক্ষ্যংছড়ি, সীমান্ত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন