নাইক্ষ্যংছড়ির মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ১ উপজাতি আহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি এক উপজাতি যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। বিস্ফোরণে ওই যুবকের পা উড়ে গেছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ৩৫ নম্বর পিলারের কাছে জিরো লাইনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত যুবককে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যুবক অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যা (২২)। সে তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার অংক্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।
এদিকে এই ঘটনার পর সীমান্তে লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিজিবি লোকজনদের সীমান্ত এলাকায় যেতে দিচ্ছনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে অথাইন ও অপর এক যুবক জিরো লাইনের কাঁটাতারের বেড়া এলাকায় যায়। সেখানে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অথাইন এর বাম পা উড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মাইন বিস্ফোরণে ওই এলাকায় একটি গরুও মারা যায়। তবে কী কারণে ওই দুই যুবক বিজিবির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জিরো লাইনে গিয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজের কাছে ঘটনার সত্যতা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মাঝে যুদ্ধ চলমান থাকায় শূন্য রেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় জনগণকে সর্বদা সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে দেশের আইন লঙ্ঘন করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। যার কুফল দেখা মিলেছে ৩নং ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার কপালে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানিয়েছেন সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার করেছে এবং স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি সীমান্তে এসব মাইন পুঁতে রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মায়ানমার সীমান্তে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষি বিজিপির মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি মর্টারশেল ও গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশের মধ্যে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি।