নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির সকল মন্দিরে কালো ব্যানার উত্তোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কেন্দ্রীয় সনাতন সমাজ কল্যান পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে ও জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবীতে খাগড়াছড়ির সকল মন্দিরে কালো ব্যানার উত্তোলন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যান পরিষদ, বাংলাদেশ জম্মাষ্টমী উদযাপন ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এ ব্যানার উত্তোলন করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এ ব্যানার উত্তোলন করা হয়েছে জানিয়েছেন সনাতন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। তবে একই দাবীতে রবিবার’র জেলাব্যাপী মানববন্ধন প্রশাসনের অনুরোধে স্থগিত করা হয়েছে।
সনাতন সম্প্রদায়ের দাবী গুলোর মধ্যে রয়েছে, সনাতন সমাজ কল্যান পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, পূজা উদযাপন পরিষদ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকের জান-মাল রক্ষায় প্রশাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপ, নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, খাগড়াছড়ি জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল মঠ, মন্দির, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ভবিষ্যতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নাগরিক ও জান-মালের উপর হামলা, অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধে সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ।
সমাজ কল্যান পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল কান্তি দাশ জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা সদর সকল উপজেলার মন্দিরে এ ধরনের ব্যানার উত্তোলন করা হয়েছে। প্রশাসনের অনুরোধে রবিবার’র জেলাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। তবে একই দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নারিকেল বাগান এলাকায় সনাতন সম্প্রদায়ের নেতা খাগগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। নির্মলেন্দু চৌধুরীকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ হোসেন বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তার ছোট ভাই মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে সনাতন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে তাদের সকল কর্মসূচী স্থগিত করেছে। তিনি বলেন, জেলার আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের অবস্থান কঠোর। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।