নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করেই চলছে পানছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম

fec-image

অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করেই চলছে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নানা কার্যক্রম। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অফিসিয়াল চিঠি-পত্রাদি বিতরণের নামে চলছে তাল-বাহানা। অফিসের কোন রেজিষ্টারে লেখালেখি বা স্বাক্ষর না রেখেই চলছে চিঠি বিতরণ। বাজারের দোকানগুলোতে দুই টাকা দিলে যে কেউ পেয়ে যাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধানদের জরুরী চিঠি।

এছাড়াও স্লিপের নিয়মাবলী বা নীতিমালা বেচা-কেনা চলছে অফিসের ভিতরেই। প্রতি সেট ৭০ টাকা। কেউ কেউ মাছ বাজারের মত দর কষাকষিও করে থাকে।

সরেজমিনে উপজেলা পরিষদ এলাকার একটি দোকানে দুই টাকা দিয়ে এ প্রতিবেদক এসএমসি  পূন: গঠন সংক্রান্ত একখানা চিঠি কেনার মাঝেই  ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে। চিঠিতে লেখা রয়েছে ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ি কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপন এর ৪.১ নং অনুচ্ছেদের আলোকে কমিটি পূন: গঠনের কার্যক্রম সমাপ্ত করে গঠিত কমিটি নির্ধারিত ছকে (সভার কার্যবিবরণীসহ) ২ প্রস্থ জরুরী ভিত্তিতে অত্রাফিসে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো’। নিচে স্বাক্ষর রয়েছে ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

এনিয়ে অনেকের প্রশ্ন, অত্রাফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে তাহলে কোন অফিস বুঝায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস নাকি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে অনেকে।

এ ব্যাপারে পানছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী সুনীল চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঝামেলার কারণে দোকান থেকে শিক্ষকদের চিঠি নিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া স্লিপের নীতিমালা বিক্রির জন্য কাউকে চাপ দেয়া হচ্ছেনা, যার খুশী ৭০টাকা দিয়ে কিনে  নিচ্ছে ।

এদিকে বিদ্যালয় ভিজিটে থাকায় শিক্ষা অফিসারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন