‘সবাই যদি বীচ কর্মী ইসমাইল এর মত এমন হত তাহলে দেশটাই সুন্দর হয়ে যেত’

1245-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন ঢাকার আদনান ও তার পরিবার। তারা সমুদ্রের সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালিয়াড়ীতে চেয়ার (ছাতা চেয়ার) ভাড়া করে বসেছিল। আর চলে যাওয়ার সময় চেয়ারের উপর ফেলে যান দামী মোবাইল। এই ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টম্বের) সন্ধ্যায়।

এদিকে ফেলে যাওয়া মোবইলটি পান ওই চেয়ার দেখা-শোনার দায়িত্বে থাকা মো: ইসমাইল। তিনি মোবাইল পাওয়ার সাথে সাথেই বালিয়াড়ী থেকে রাস্তায় ছুটে আসেন মোবাইলটি ফেরত দিতে। কিন্তু ততক্ষনে আদনান ও তার পরিবার চলে যান। মো: ইসমাইল মোবাইলটি যত্নসহকারে রেখে দেয়। লক্ষীপুরের বাসিন্দা মো: ইসলামাইল অপেক্ষায় থাকেন কেউ ফোন করে মোবাইলটি যদি ফিরিয়ে নেয়।

সেদিন রাত ৯ টার দিকে ওই মোবাইলে ফোন আসে। এটি আদনানের নয় আদনানের এক বন্ধুর। মো: ইসমাইল ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘এই মোবাইলটি হারানো গিয়েছে। তাই মোবাইলের মালিককে খবর দেওয়া হোক। আর মোবাইলটি নিয়ে যাওয়া হোক। এদিকে ততক্ষন আদনান ও তার পরিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। পরে বন্ধুর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের সন্ধান পেয়ে আদনান অস্থির হয়ে উঠে। তিনি একটু পর পর মো: ইসমাইলকে ফোন করতে থাকে।

এরপর মো: ইসমাইল বলেন, এসএ পরিবহণ অথবা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ঠিকানা দিতে। আর তার কথা অনুযায়ী ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা এসএ পরিবহণনের ঠিকানা দেন। আর সেই ঠিকানা অনুযায়ী মোবাইলটি এসএ পরিবহনে দিতে যায়। অবশ্য ইতিমধ্যে আদনানের পরার্মশ অনুযায়ী সাংবাদিক আবদুল্লাহ নয়নের হাতে মোবাইলটি তুলে দেয়া হয়। তিনি আদনানের পরিচিত এবং কাছের মানুষ। পরে আবদুল্লাহ নয়ন সুন্দরবন কোরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আদনানের কাছে মোবাইলটি পাঠিয়ে দেন।

মোবাইলের মালিক আদনান জানান, ওই দামী মোবাইটি হারালে বড় ধরনের ক্ষতি হত। কারন ওখানে থাকা নাম্বার ও তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি মো: ইসমাইলের এই মহৎ কাজ দেখে অবাক হন। তিনি বলেন, ‘সবাইকে এমন হওয়া উচিত। আর সব মানুষ যদি এমন হত। তাহলে দেশটাই খুবই সুন্দর হত।’ মো: ইসমাইলের এই কাজে গোটা কক্সবাজারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন