পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে উপজাতীয় কোটা বাতিল করে পার্বত্য কোটা চালু করার দাবী
স্টাফ রিপোর্টার :
পার্বত্যঞ্চলে শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে উপজাতীয় কোটা বাতিল করে, পার্বত্য কোটা চালু করার দাবী জানিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে ১ নভেম্বর ৮ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ গঠন করা হয়। পার্বত্যাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এ সংগঠনটি কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে বিরাজমান পরিস্থিতি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ভূমি। সঠিকভাবে ভূমি জরিপ পরিচালনা করা গেলে, এসমস্যা সমাধান করা যাবে। দীর্ঘ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আছে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ। পাহাড়ে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এসব পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। পার্বত্যাঞ্চলের গণমানুষের স্বার্থে এ দাবী বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান তিনি।
শনিবার সকাল ১১টায় শহরের ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এসব কথা বলেন সংগঠনটির মহাসচিব এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ মুজিবুর হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বাঙ্গালী পরিষদের মহা সচিব এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী। এসময় আরো উপস্থিদ ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহবায়ক বেগম নুর জাহান, সদস্য সচিব মোঃ জামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সভাপতি মুমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ইব্রাহিম মজুমদার, আবু আহমেদ, মোঃ তৌহিদ, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
সভায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহবায়ক বেগম নুর জাহান বলেন, সরকার রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজের ভর্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার দাড় উম্মোচন করে দিয়েছেন। এভাবে বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম দ্রুত চালু করা গেলে পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার কোন সুযোগ থাকবে না। যার ফলে এই শিক্ষার ব্যবস্থার মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে থাকবেনা কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কারণ কোন শিক্ষিত জাতি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকতে পারে না। অবিলম্বে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের মতো বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান।
এর আগে রাঙামাটি পৌর চত্বর থেকে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালীতে তিন পার্বত্য জেলার বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ করেন।