পেকুয়ায় চাঁদার দাবিতে এক প্রবাসীর বসতঘর গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় চাঁদার দাবীতে এক প্রবাসীর বসতঘর গুড়িয়ে দিয়ে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ৩ জানুয়ারী বিকাল ৫ টায় টইটং ইউনিয়নের আবাদিঘোনা এলাকার সৌদি প্রবাসী বেলাল উদ্দিনের বসতঘর গুড়িয়ে দিয়েছে ওই এলাকার মৃত করিমদাদের পুত্র নুরুন্নবী, রেজাউল করিম, নুরুল হোছাইন, মাহামুদুল করিম, বাদশা, মিয়াজ, আসাদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা। বেলাল উদ্দিন সৌদি আরব প্রবাস থাকার সুবাধে এলাকার সন্ত্রাসীরা তার পুত্র কে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের সহযোগিতায় ছেলে উদ্ধার করা হলে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নিমার্ণধীন বসতঘর গুড়িয়ে দিয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বুলবুল আক্তার বাদী হয়ে পেকুয়া উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রষ্ট ও নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফ রশিদ খানে আদালতে অভিযোগ দিলে নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রষ্ট দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পেকুয়া থানার ওসি কে নিদের্শ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পায়।
ঘটনার আগে থেকে সন্ত্রাসীরা প্রবাসী বেলাল উদ্দিন ও তার পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ ও চাঁদা দাবী করায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বুল বুল আক্তার বাদী হয়ে উপজেলা নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রষ্ট আদালতে মামলা করে। যা ১০৭/১১৭ ধারা সি কার্য্যবিধি বাউন্ডেট এর জন্য অপেক্ষমান আছে। মামলার বিবাদীরা মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানিয়ে বসতঘরটি গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে।
প্রবাসীর স্ত্রী বুল বুল আক্তার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গ্রাম আদালত থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে বিচার হয়েছে। প্রত্যক বিচারে আমার পক্ষে রায় হয়। তার পরও সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন আমাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদসহ গালিগাল এবং মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সন্ত্রাসীরা আমার স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে আমাকে ও আমার ছোট ছেলে কে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বসতভিটার গাছপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
বিবাদিরা সন্ত্রাসী কায়দায় আমার উপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বিবাদীরা প্রতিদিন চাঁদা দাবী করে যাচ্ছে না হয় যেকোন মুহুর্তে আমাকে এবং আমার ছোট ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমুকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।