পেকুয়ায় প্রথম দফায় পরিচয়পত্র পেল ১৮৫৭ জন জেলে
এম.জুবাইদ, পেকুয়া :
পেকুয়ায় প্রথম বারের মতো জেলেদের মাঝে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) প্রদান করা হয়েছে। পরিচয়পত্র বিতরণের প্রথম ধাপে পেকুয়ার ১৮৫৭ জন জেলেকে পরিচয় পত্র প্রদান করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফ রশিদ খান‘র সভাপতিত্বে পরিচয় পত্র বিতরণী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রনি, চকরিয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা মো: আরিফুর রহমান, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. বদিউল আলম জিহাদী, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তাফা চৌধুরী।
পেকুয়া উপজেলা মৎস্য অধিদদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নবাগত মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল-মামুন। এতে জেলেদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জেলে মো: নুরুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সরকার জেলেদের জন্য এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পরিচয়পত্র থাকলে সাগরে জেলে এবং জলদূস্যদের চিনতে সহজ হবে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক জেলে বাংলাদেশের জলসীমা না চিনে অন্য দেশের জলসীমায় চলে যায় তখন ওই দেশের সরকার তাদের পরিচয় না পেয়ে তাদেরকে আটক করে রাখে। পরিচয়পত্রের কারনে এখন আর পরিচয় পেতে কোন ধরনের অসুবিধা হবেনা। পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জেলেরা সরকার থেকে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা পাবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
মৎস্য অফিসসূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে ৩৬০০ জন জেলে নিবন্ধিত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম দফায় পেকুয়া উপজেলায় ১৮৫৭টি কার্ড এসেছে। অবিশিষ্ট ১৭৪৩ জলের কার্ড আসলে তা জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
পরে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জেলেদের হাতে পরিচয় পত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের জিয়া উদ্দিনসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।