পেকুয়ায় লাইসেন্সবিহীন মটরবাইকের পরিমাণ বৃদ্ধিতে বাড়ছে দূর্ঘটনা ও নানা অপরাধ

 

উপজেলা প্রতিনিধি, পেকুয়া :

পেকুয়ায় লাইসেন্সবিহীন মটরবাইকের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধিতে দূর্ঘটনা বাড়ছে। ফলে মটর বাইকের দূর্ঘটনায় কবলিত হয়ে এ পর্যন্ত অনেকই প্রাণ হারিয়েছে। অনেকের মায়ের বুক খালি করেছে মরণ যন্ত্র মটরবাইক। বিভিন্ন নামী বেনামী কোম্পানি অল্প দামে মটরবাইক বিক্রয় করার ফলে যে কেউ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আগের দিনে মটরবাইকের দাম বেশী হওয়ার কারণে মটরবাইকের পরিমাণ কম ছিল। যেগুলো ছিল গাড়ীর কাগজপত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স ও সম্পন্ন ছিল। কিন্ত এখন অল্প দামে মটর বাইক পাওয়া যাওয়ার কারণে এসব গাড়ীর কোন ধরণের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। যার ফলে মটরসাইকেল এত দ্রুত গতিতে চালার কারণে প্রতিদিন মটরসাইকেল আরোহী কিংবা পথচারী দূর্ঘটনা কবলে পড়ে তাজা প্রাণ হারায় আবার অনেকই পঙ্গুবরণ করে।

গাড়ীর লাইসেন্স না থাকায় অনেক সময় দেখা যায় দ্রুতগামী মটরবাইক পথচারীকে দূর্ঘটনা করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সুযোগ হয়। ফলে ঐ পথচারীর চিকিৎসার আর খবর থাকে না। গাড়ীর লাইসেন্স না থাকার ফলে অনেক সময় মেয়েদেরকে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এখন অনেক বখাটে যুবকরা নামী দামী ঝিকমিক মটরবাইক নিয়ে স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীদেরকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে ইভটিজিং এর মাত্রাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পেকুয়ায় শত শত মটরবাইক চললেও লাইসেন্স আছে কয়েকটির বাকীগুলো অনটেস্ট স্টিকার লাগিয়ে চলে যাচ্ছে। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলার কাহারিয়া ঘোনার ছালাম মাস্টার পাড়া এলাকার জকরিয়ার পুত্র প্রবাসী সোহেল রানা(২৫), একই এলাকার ফোরকান(২৭), জাফর আলমের পুত্র জাহেদ (৩০) এ তিন জন পেকুয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে মটরবাইক যোগে চকরিয়ায় যাওয়ার পথে দ্রুতগামী মটরবাইকটি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ছড়াপাড়া স্টেশনে দূর্ঘটনা কবলে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করে। চট্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জাহেদ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয় বাকীরা ও পঙ্গু হয়ে যায়।

এ অবস্থায় মটরবাইকের উপর আরোপিত আইন বাস্তবায়ন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতনমহল। প্রতি সপ্তাহে মোবাইল কোট পরিচালনা করে লাইসেন্সবিহীন মটরসাইকেলগুলো জব্দ করা হলে এক দিকে সরকার পাবে প্রচুর রাজস্ব এবং গাড়ী পাবে একটি উপযুক্ত ডকুমেন্ট। গাড়ীগুলো লাইসেন্সবিহীন হওয়ায় প্রতিদিন দূর্ঘটনা করতে সামান্যতম ভয় পাচ্ছে না এসব মটরবাইকের মালিকরা। এখন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে প্রচুর ভয় লাগে কারণ মটরবাইকের উৎপাতে যেকোন মহুতে দূর্ঘটনা হতে পারে।

জানা গেছে, প্রায় সময় মটরবাইক করে বিভিন্ন স্থান থেকে ইয়াবা, হিরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সমগ্রী নিয়ে আসছে। এসব অপরাধীদেরকে ধরতে পারছে না পুলিশ। সচেতনমহলের ধারণা মোবাইল কোট চালু থাকলে অপরাধীরাও ভয় পাবে এবং অপকর্ম কমে যাবে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান শীঘ্রই লাইসেন্সবিহীন মটরগাড়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন