পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১২ বছর পর ১৯ আগষ্ট চালু হচ্ছে সাব- রেজিষ্ট্রারের কার্যক্রম

পেকুয়া(কক্সবাজার)সংবাদদাতা:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১২ বছর পর ১৯ আগষ্ট চালু হচ্ছে সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যক্রম। সূত্রে জানা যায় ততকালিন চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০২ সালের ২ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা কে দুভাগে ভাগ করে ৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে পেকুয়া কে একটি উপজেলা ঘোষণা করেন। উপজেলা প্রতিষ্টার পর থেকে হাড়িহাড়ি পা করে উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, ডাকবাংলো, কলেজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ক্রীড়া কমপ্লেক্স, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয় সহ যাবতীয় সরকারী অফিস আদালত পৃথক হয়ে পেকুয়া উপজেলা কে একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলায় রূপ নেয়।

পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হিসাবে রূপ নিলেও উপজেলা মাষ্টার প্লানের একটি অংশ হিসাবে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য থেকে যায়। ফলে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পেকুয়া উপজেলার লোকজন কে সুদুর চকরিয়া উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়ে জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে যেতে হত। ফলে পেকুয়ার লোকজনের প্রচুর কষ্ট ফেতে হত। এক খন্ড জমি ক্রয় বিক্রয় করতে পুরো একটি দিন অতিবাহিত হয়ে যেতে।

অনেক সময় কাগজপত্র গোচাতে সময় চলে গেলে অতিরিক্ত ফি দিয়ে কবলা করতে হয়। অনেক দিন ধরে পেকুয়াবাসীর দাবী পেকুয়ায় একটি সাব রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় স্থাপন করে পেকুয়াবাসীর কষ্ট দূর করবে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তপক্ষের সাথে সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয় স্থাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তিবদ্ধ হাওয়ার পর গত ১৬ আগষ্ট পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীবাসে অস্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মীর শওকত হোসেন, জেলা সাব রেজিষ্ট্রার মোস্তাক আহম্মদ ও মহেশখালী- চকরিয়া- পেকুয়া- কুতুবদিয়া উপজেলায় দায়িত্বরত সাব- রেজিষ্ট্রার আশরাফুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা। সবকিছু সেরে অবশেষে পেকুয়া সাব রেজিষ্ট্রারের কার্যক্রম ১৯ আগষ্ট শুরু হচ্ছে।

অফিসসূত্রে জানায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সাব রেজিষ্ট্রারের পদ শূন্য থাকার কারণে চকরিয়ায় দায়িত্বরত সাব রেজিষ্ট্রার কে পেকুয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন রেজি: কার্যক্রম করবেন। অফিসের জনবল সম্পর্কে জানতে জেলা সাব রেজিষ্ট্রার মোস্তাক আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান চকরিয়া থেকেএক অফিস সহকারী ও একজন মহুরী এবং কিছু সংখ্যাক কর্মচারী দিয়ে পেকুয়া অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। তথ্য সূত্রে ৩৪৪৫৮ একর আয়তনের পেকুয়া উপজেলা কে ১১টি মৌজায় ভাগ করা হয়েছে। তত মধ্যে কৃষি জমি রয়েছে ২০,৯৭০ একর, অকৃষি জমি রয়েছে ১৩,৪৮৪ একর পতিত জমি ২০,৯২৭ একর রয়েছে। চিংড়ি জমি ২২১৫ একর, লবণ চাষের জমি ৭,৬০৯ একর, বনভূমি ১,৭৩৪ একর। চলতি পতিত জমি ৩৬০ একর।  
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অনেক দিন পর হলেও পেকুয়াবাসীর কষ্ট দূর হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন