বাংলাদেশের মেয়েরা আমাদের গর্বিত করেছে: জয়া চাকমা

fec-image

জয়া চাকমার একসময় জাতীয় নারী ফুটবল দলে সরব পদচারণা ছিল। লাল সবুজ জার্সি গায়ে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি।

বাংলাদেশ এই প্রথম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই টুর্নামেন্টে বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি জয়া চাকমা। যদিও সেমিফাইনালের আগেই তাকে দেশে ফিরতে হয়েছে। তবে বাংলাদেশ যে টুর্নামেন্টে কিছু একটা করবে- তা আগেই বুঝতে পারছিলেন এই রেফারি। দেশে ফিরে টেলিভিশনে সাবিনাদের জয়োৎসব দেখেছেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এসে গণমাধ্যমে জয়া চাকমা সাবিনাদের শিরোপা জয় নিয়ে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন।

শুরুতে সাবিনাদের শিরোপা জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা আমাদের গর্বিত করেছে। এতে কোনও সংশয় নেই। এই শিরোপা জয় মেয়েদের অনেক দূর নিয়ে যাবে।’

জয়া সাফে গ্রুপ পর্যায়ে চারটি ম্যাচে মাঠে ছিলেন। নিয়মের কারণে ফাইনাল ম্যাচ দেখা হয়নি। তাই জয়ার আক্ষেপ, ‘মাঠে বসে দলের শিরোপা উৎসব দেখতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু দেখা হয়নি। এই দল যে ভালো করবে, ফাইনালে খেলবে; তা আমার সহকর্মী অনেকেই বলেছিলেন। আর ট্রফি জিতে তো সাবিনারা সবকিছু আলোকিত করেছে। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।’

এই জয়ের পর মেয়েদের ভীষণ জরুরি একটা দিকের প্রতি আলো ফেলেছেন জয়া। তিনি মনে করেন, এই মেয়েদের ভালো পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন, ‘নেপালে দেখে এসেছি ওদের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত স্পন্সর আছে। যা ওদের সামনে এগিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এখন আমাদেরও তেমনটি প্রয়োজন। এতে খেলোয়াড়রা উপকৃত হবে। আশা করছি, সামনের দিকে তা হয়ে যাবে।’

বাফুফে ভবন ছাড়ার আগে নিজের সময়ের সঙ্গে তুলনা করে ফিফার স্বীকৃতি এই রেফারি বলেছেন, ‘আমাদের সময় সাফের শিরোপা জেতার কথা ভাবা কঠিন ছিল। সেভাবে সুবিধা কম ছিল। আর কাঠমান্ডু জয়ী মেয়েরা তো নিয়মিত অনুশীলন করছে। বাফুফে তাদের নিয়মিত পরিচর্যা করছে। এছাড়া বঙ্গমাতা ফুটবল নিয়মিত হওয়ায় তা অনেক কাজে দিয়েছে। খেলোয়াড়রা উঠে আসছে। এতেই সাফল্য এসেছে।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন