বাইশারীতে ঘূর্ণিঝড় কোমেন’র আঘাতে ৩ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
আব্দুল হামিদ:
পার্বত্য বান্দরবানের বাইশারীতে ঘূর্ণিঝড় কোমেন’র আঘাতে ৩ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। টানা বর্ষণ ও প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় বাইশারী ইউনিয়নের কাগজিখোলা, ক্যাংগারবিল,আলীক্ষ্যং, করলিয়ামুরা, লম্বাবিল, নারিচবুনিয়া, দক্ষিণ বাইশারী, পূর্ব বাইশারী, হলদ্যাশিয়া, উত্তর বাইশারী গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে বসতবাড়ির চাল, মাটির ঘরের দেওয়াল ধসে গেছে।
এছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় ও অতিবৃষ্টিতে ধসে যাচ্ছে পাহাড়। ডুবে যাচ্ছে পুকুর এবং বসতভিটার লাগানো গাছসহ বনজ ও ফলজ ও রাবার বাগানের হাজার হাজার গাছ উপড়ে গিয়েছে। অপর দিকে বসত ভিটার গাছ উপড়ে গিয়ে অনেক বাড়ী ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে বসতবাড়ীর ফলজ বনজ বাগান ছাড়াও রাবার বাগানের লাগানো গাছ সহ বাড়ি ঘর বাতাসে উড়ে নিয়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে রাবার বাগানের ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান। অতি বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় বাগানের প্রচুর গাছ পালা ভেঙ্গে গেছে এবং উপড়ে গিয়েছে।
এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, ক্যাংঘরসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ পালা পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হলদ্যাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোছেন বলেন, গত রাতে প্রবল জড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে তার বসতবাড়ী সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
আবুল হোছনের মত লম্বাবিল এলাকার বাসিন্দা লোকমান হাকিমের পুত্র আহমেদ রেজা খান এই প্রতিবেদকের নিকট কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে এবং গাছ পালা পড়ে বাড়িঘর বিধ্বস্ত ছাড়াও পানি ঢুকে বাকী ঘরও ভেঙ্গে যাওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। বর্তমানে বৃষ্টির ভিতর খোলা আকাশের নিছে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।টানা বৃষ্টিতে অসহায় দিন মজুরেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন, পুরো ইউনিয়নে এই পর্যন্ত ইউপি সদস্যদের প্রতিবেদনে ৩শতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্তের তালিকা পেয়েছেন। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন বলে জানান।
ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়িঘর নির্মাণের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।