বাইশারীতে বন্যহরিণের জব্দকৃত মাংস নিয়ে চলছে তেলেসমতি, মূলহোতা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে!

photo25

আব্দুল হামিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারে গত ২০শে এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বন্য হরিণের মাংস জব্দ করা হলেও মূলহোতা সকল অপকর্মের গড ফাদার নাজমা খাতুন রাবার বাগানের ম্যানেজার মো:আল আমিনের রিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সে এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেল। বাইশারী বাজারে আলতাফের পানের দোকানের পার্শ থেকে প্রকাশ্যে জব্দ করা হরিণের মাংস নিয়ে শুরু হয়েছে এখন নানা তেলেসমতি। নিজেকে বাচাঁনোর জন্য নানা ধরনের কলা-কৌশল সহ ছল চাতুরির আশ্রয় নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এছাড়া নিজেকে সাধু বানিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করে পত্রিকায় প্রতিবাদ দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে জব্দকৃত বন্য হরিণের মাংসের ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে পুরো ঘটনাটিকে মিথ্যা বানিয়ে বন্যহরিণের মাংসগুলোকে ছাগলের মাংসে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করছেন। সত্য ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টায় পুরো এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। কেন তাকে আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?- এই প্রশ্ন বাইশারীর আম জনতার।

অনেকে আবার বলা বলি করছেন, গড ফাদার মো:আল আমিনের টাকার কাছে কি প্রশাসন হার মেনে গেল ? এলাকার শত লোকজন স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করে বলেন, কিভাবে বন্যপ্রাণী হত্যাকারী এখনো গ্রেপ্তার হচ্ছে না।বলিউডের বিশ্ব কাপানো তারকা সঞ্জয় দত্ত, সালমান খান পর্যন্ত হরিণ শিকার করে আইনের হাত থেকে রেহাই পান নি। আল আমিন কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে।তার পিছনে কি এত বড় শক্তি?হরিণ হত্যাকারী আজ প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের জব্দ তালিকায় মো:আল আমিনের নাম উল্লেখ রয়েছে এবং উক্ত তালিকায় স্বাক্ষীদেরও নাম রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে পুলিশ। এখন সে মাংস গুলো হরিণের পরিবর্তে ছাগলের মাংস হল কিভাবে।

স্থানীয়রা জানান, আল আমিন প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও উর্ধতন কর্মকর্তারাও তার হাতের মুঠোয়।তাই তাকে কেও কিছু করতে পারবে না। সে আবার গণমাধ্যম কর্মীর সামনে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় যে, এখন সে বাইশারী বাজারে জীবিত হরিণ ধরে এনে জবাই করবে। পারলে ঠেকাও।

গত ২০ শে এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মো:আল আমিনের পাঠানো বন্য হরিণের মাংস বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিছুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযানের মাধ্যমে জব্দপূর্বক উদ্ধার করে । যা ২০ শে এপ্রিল অন লাইন পোটাল নিউজ, স্যাটেলাইট চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজ বুক ও ২১ শে এপ্রিল দেশের স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে ছবিসহ ঢালাওভাবে প্রকাশ পায়। তার পরেও হরিণ হত্যাকারী আল আমিনের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন গণমাধ্যম কর্মীদের প্রকাশ্যে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুংকার ছাড়ছে।

উক্ত ঘটনায় বাইশারীবাসী হরিণ হত্যাকারী মো:আল আমিনকে ধিক্কার সহ অবিলম্বে গ্রেপ্তারে দাবী তোলেন। হরিণের মাংস জব্দ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা লামা বন বিভাগ সাঙ্গু রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করলেও পুলিশের কাছ থেকে হরিণের মাংস গুলো না পাওয়ায় তিনি ব্যবস্থা নিতে দেরী হচ্ছে বলে জানান।

বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস,আই আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,বন্য হরিণের মাংস গুলো ২ দিন তার রুমে রাখার ফলে পঁচন ধরায় তিনি বাইরে ফেলে দিয়েছেন।

বাইশারীতে হরিণের মাংস উদ্ধার: প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেপ্তার হয়নি মূলহোতা

বাইশারীতে পুলিশের অভিযানে বন্য হরিণের মাংস জব্দ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন