বান্দরবানের এমন কোন এলাকা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি: বীর বাহাদুর
স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন, জনগণ আমাকে সংসদে পাঠিয়েছে, আর শেখ হাসিনা জনগণের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। গত ২২ বছরে বান্দরবানের এমন কোন এলাকা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নাই।
শুক্রবার সদর ইউনিয়নের উত্তর গোয়ালিয়া খোলা মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বান্দরবানে এমন কোন পাড়া নেই যেখানে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা আর রাস্তাঘাট-ব্রীজ নির্মাণ করা হয় নাই। জনগণের সুবিধা অনুযায়ী যেখানে যা দরকার তা করা হয়েছে। আর এসব করা সম্ভব হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বধন্যতায়।
কৃষকদের সুবিধার্থে সেচ পাম্প, বিনামূল্য বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গরীব অসহায়দের ভিজিএফ, ভিজিডি চাল বিতরণ ও বিধবাদের এবং বয়স্কদের ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, বান্দরবান বাজার চৌধুরী মংক্যচিং, রেড ক্রিসেন্ট সেক্রেটারী একেএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে উত্তর গোয়ালিয়া খোলা জামে মসজিদের সীমানা দেওয়াল, এলজিইিডর ৬২ লাখ টাকা ব্যায়ে সুইচা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূনঃ নির্মান, বান্দরবান পাবর্ত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে রেইচা লম্বা ঘোনা বৌদ্ধ বিহারের উদ্বোধন এবং রেইচা বাজার ঘোনা পাড়ায় ত্রাণ অধিদপ্তর কতৃক ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রীজের উদ্বোধন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ জানান, স্থানীয় জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে উত্তর গোয়ালিয়া খোলা জামে মসজিদের সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নব নির্মিত মসজিদটিও সুরক্ষিত হল।
সুইচা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অঞ্জনা দাশ বলেন, আগের ছোট বিদ্যালয়টি পাহাড়ের উপরে ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের উঠানামা কষ্টকর ছিল। নবনির্মিত বিদ্যালয়টি অনেক বড় এবং পানি ছাড়া সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।