বান্দরবানে বীর বাহাদুরের বিরুদ্ধে লড়বেন প্রসন্ন

bir

স্টাফ রিপোর্টার, পার্বত্যনিউজ :

আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য বান্দরবান সংসদীয় আসনে টানা চার বারের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরের বিরুদ্ধে লড়বেন জেলা আওয়ামীলীগের সতের বছরের সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা।

ইতিমধ্যে এ আসনে টানা চার বারের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরের দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হলেও নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে জেলার আওয়ামী শিবিরে আবারো আলোচনার ঝড় তুলছেন এ নেতা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না গেলে আসনটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অপরাধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিলেও দু:খ থাকবে না তার।

নির্বাচনী শর্ত মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করবেন জানিয়ে গতকাল বুধবার জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন পত্র কেনার টাকা জমা দিয়ে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা।

এদিকে বান্দরবান সংসদীয় আসনে বীর বাহাদুরের দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, দলের বাইরে যাবার যেহেতু সুযোগ নেই। বীর বাহাদুর’কে মনোনয়ন দেয়া হলে সংগঠনের স্বার্থে তার পক্ষে কাজ করবো। তবে বিএনপি নির্বাচনে না গেলে আসনটি হাত ছাড়া হওয়ার শঙ্কায় নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে করবো। তিনি বলেন, জনগন চাইলে আমি নির্বাচন করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতা প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা‘র জয়লাভের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিগত স্থানীয় নির্বাচনে জেলার ২টি পৌরসভা, তিনটি উপজেলায় বিএনপি ও রুমা উপজেলায় জেএসএস প্রার্থী জয়ী হয়েছে। মাত্র দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করে। সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী নেতাদের এ জাতীয় আচরণের কারণে খারাপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন