বান্দরবানে মারমা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় উপজাতি ধর্ষক জেল হাজতে
থানচি প্রতিনিধি:
বান্দরবান শহরে মারমা কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত উপজাতি ধর্ষককে জেলা হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার নিউগুলশান এলাকার ক্যচিং মারমার ছেলে মংবাচিং মারমা (২৬)কে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্লাত হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে নিজের ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন আদালতে।
সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যা শহরের কালাঘাটা এলাকার (১৪) বছর বয়সী কিশোরী তার বড় ভাই মংচহ্লা মারমার বাড়ী থেকে ফেরার পথে মংবাচিং মারমাসহ অপর তঞ্চঙ্গ্যা যুবক জোরপূর্বক পাশের পাহাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ করলে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মংবাচিং মার্মাকে নিউগুলশান এলাকা থেকে আটক করে। অপর তঞ্চঙ্গ্যা পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
থানছি উপজেলার চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা জানান, শহরের নিউগুলশান এলাকার তার বাড়িতে (১৪) বছর বয়সী গৃহকর্মী সোমবার শহরের কালাঘাটায় তার বড় ভাই মংচহ্লা মারমা বেড়াতে গিয়েছিল। সন্ধ্যার দিকে ফেরার পথে তাকে পথে একা পেয়ে নতুন কালাঘাট এলাকায় জোরপূর্বক পাহাড়ে নিয়ে দুই বখাটে যুবক ধর্ষণ করে। পরে ওই মেয়ের চিৎকারে এলাকার আশেপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে দুই ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ অংশৈ প্রু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিশোরীকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডের ১২ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।
বান্দরবান থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার নিউগুলশানের নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মংবাচিং মারমাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।