বান্দরবানে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস উদযাপন: ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকরা হতাশ

Bandarban paddy pic-14.5.2014

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান:
বান্দরবানে মাটির গভীরে সার প্রয়োগ বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় বোরো আবাদে প্রযুক্তি প্রদর্শনী (গুটি ইউরিয়া) ব্যবহারের ওপর এক শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সদর উপজেলাপর ক্যামলং পাড়ায় মংহ্লা প্রু জমিতে মাঠ দিবস উদাযাপন হয়।

পূর্বঞ্চলীয় সম্বন্বিত কৃষি উন্নয়ন (২য় পর্যায়ের) প্রকপ্লের আওতায় বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় এ গবেষনা কার্যক্রম ও শস্য কর্তন মাঠ দিবসের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড. বিমল কুমার প্রামানিক, উপ-কৃষি কর্মকর্তা ক্যহ্লাউ মার্মা, কৃষক মংহ্লা প্রুসহ কৃষক-কৃষানিরা উপস্থিত ছিলেন।  

জানা গেছে, মাঠ দিবসে বোরো ধান চাষে গুটি ব্যবহার করে ছিটানো ইউরিয়ার চাইতে একর প্রতি ২০ মণ ফলন পার্থক্য পাওয়া গেছে। মংহ্লা প্রুর একর প্রতি জমিতে ছিটানো ইউরিয়ায় একর প্রতি ফলন হয়েছে ৬৩ মন এবং গুটি ইউরিয়ায় ফলন হয়েছে একরে ৮১ মণ। একই জমিতে গুটি ব্যবহারে ফলন হয়েছে একরে ১৭ মণ।
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড. বিমল কুমার প্রামানিক বলেন, দেশী উপষি জাত বি-২৮ ধান একর প্রতি দুই থেকে আড়াই টন আর হাইব্রিড জাতের ধান প্রতি একরে তিন থেকে সাড়ে তিন টন ধান এই মৌসুমে পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, হাইব্রিডে কৃষকে ঝুক রয়েছে। কিন্তু হাইব্রিডের বীজ ধান এক বছরের গুলো অন্য বছরে ব্যবহার করা যায়না। তবে দেশীয় প্রযুক্তির ধানের বীজ সংগ্রহ করে তা অন্য বছর ব্যবহার করতে পারে। তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় বিনা মূল্য গুটি ইউরিয়া ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

উপ-কৃষি কর্মকর্তা ক্যহ্লাউ মার্মা জানান, বি ধান ২৮ এর চেয়ে হাইব্রিড ধানের ফলন বেশী হয়। কিন্তু হাইব্রিড ধানে খরচের পরিমনও বেশী। তার পরও কৃষকরা হাইব্রিড ধান চাষের দিকে ঝুকছে বেশী। কৃষক মংহ্লা প্রু জানান, বোরো  ধান আবাদের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বি-২৮ এবং হাইব্রিড ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে ধানের মূল্য মন প্রতি ৬০০ টাকা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ধানের বাজার মূল্য মন প্রতি ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ টাকা। ১মন ধান উৎপাদন করতে সাড়ে ৭শ থেকে ৮শ টাকা খরচ হয়েছে। এখন ধানের দাম যদি ১হাজার থেকে ১১শ টাকা নির্ধারনের করা হয় বা দেওয়া হয় তাহলে তাদের কিছুটা লাভবান হবেন অন্যতায় ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তারা। তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তার মত অনেক কৃষক হতাশা প্রকাশ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন