বান্দরবানে ৬ জেএসএস নেতা আটক: ৩ উপজেলায় আওয়ামী লীগের অবরোধ প্রত্যাহার

ZZZ

স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা মং পু মারমাকে মুক্তির দাবীতে ডাকা অবরোধ তিন উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোজা ও জনসাধারণের কথা চিন্তা করে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম ও লামা উপজেলায় বৃহস্পতিবার থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে অপর ৪ উপজেলা বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলীয় নেতা মুক্তি না পাওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করে সরকার সমর্থক আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ৬জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। আটককৃতরা হলেন জেলা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) যুগ্ন সম্পাদক উচচিং মারমা, জেএসএস নেত্রী মেহ্লাচিং মারমা। জেএসএস নেতা রাজবিলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবুল মার্মা, নোয়াপতং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য থোয়াইচিং মং, মেমং ও কেন প্রু।

বুধবার সকাল ৬টা থেকেই সরকার সমর্থক দলীয় নেতা-কর্মীরা শহরের গুরুত্ত্বপুর্ণ ট্রাফিক মোড়, বাসস্টেশন, ক্যায়ং মোড়, দোয়েল চত্ত্বরে টায়ার জ্বেলে ও গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অবরোধ কর্মসূচী পালন করছে।

সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির কারণে জেলার সব এলাকায় জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। ফলে পর্যটকসহ হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে বিভিন্ন স্থানে। অবরোধের কারণে পুরো জেলার জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। তবে রমজানের কারণে সবধরণের দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবরোধের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে এদিকে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট।

অন্যদিকে অপহৃতের মেয়ের জামাই হ্লা মং চিং বাদী হয়ে অপহরণ ঘটনায় জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং, সাধুরাম ত্রিপুরা, সংগঠনটির সভাপতি উছোমং মার্মা, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাবা মং, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জলি মং, রাজবিলা মৌজা প্রধান মংপু হেডম্যান, নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, জনসংহতি সমিতির নেতা এস মং ওরপে বিপুল চাকমা, শৈখ্যাইচিং মারমা, মেহ্লাচিং মারমা, সাচিংনু মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা নিত্যলাল চাকমা, অজিত চাকমা’সহ সহ ৩৮ নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ ওই অপহরণের ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করলেও জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দ অস্বীকার করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন