বিনা অনুমতিতে পার্বত্যাঞ্চল ভ্রমণে এসে বিপত্তিরমুখে রাশিয়ান সাইক্লিং দল

fec-image

কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণে এসে বিপত্তিরমুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়ান সামারা সাইক্লিংদলকে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট- খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়ছড়িতে প্রবেশকালে রামগড়ে ফরেইনার চেকপোস্টের পুলিশ তাদের আটকে দেয়।

পুলিশের হেফাজতে থেকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাভের পর শনিবার দুপুরে দলটি রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে রামগড় ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ১১শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে সাইকেলে চড়ে ৭ সদস্যের রাশিয়ান সামারা সাইক্লিং দলটি পার্বত্য অঞ্চলে আসেন। তাদের দলে ১ নারী ও ৬ পুরুষ সদস্য হলেন, আকচুরিন কনস্ট্যান্টিন, মাকারভ ইভগেনি, ওভচিনিকভ সের্গেই, ইভানভ ডেনিস, ভার্শিনিকোভা আনাস্তাসিয়া, চেরনিয়াক দিমিত্রি, মালাখোভস্কি ভাদিম ও ক্রিউকভ মাকসিম।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার দায়িত্বে নিয়োজিত এক সদস্য জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির প্রবেশদ্বার রামগড়ের সোনাইপুলস্থ ফরেইনার চেক পোস্ট অতিক্রমকালে সাতজন রাশিয়ান তরুণকে বিধিমোতাবেক চেক করা হয়। তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা থাকলেও পাবর্ত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের কোন অনুমতিপত্র ছিল না। এ কারণে তাদেরকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। শনিবার সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এ জেলায় ভ্রমণের একদিনের অনুমতিপত্র পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে দুপুরে পুলিশের নিরাপত্তা প্রহরায় তাদেরকে গুইমারা থানার সীমানা পযর্ন্ত পৌঁছে দেয়া হয়। ওই গোয়েন্দা সদস্য আরও জানান, শুক্রবার রাতে ওই বিদেশীদের রামগড়ে কৃষি গবেষণার রেস্ট হাউসে পুলিশের প্রহরায় রাখা হয়।

রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দোকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, সাইকেলে চড়ে ভ্রমনে আসা রাশিয়ান পর্যটকরা পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে বিশেষ অনুমতি নেয়ায় বিষয়টি জানতেন না। তাই তারা অনুমতি ছাড়াই রামগড় দিয়ে খাগড়াছড়ি প্রবেশ করছিলেন। পরে পুলিশের হেফাজতে থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে তারা অনুমতিপত্র পান।

সাইক্লিং দলের দলনেতা জানান, তারা সাইকেলে চড়ে এক হাজার ১শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়ার লক্ষ্যে ভ্রমণে নেমেছেন। খাগড়াছড়ি -রাঙ্গামাটি – কাপ্তাই-বান্দরবান -আলীকদম থেকে তারা কক্সবাজার-টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন যাবেন। পরে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার গিয়ে সেখান থেকে নিজ দেশে ফিরে যাবেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্যাঞ্চল, ভ্রমণ, রাশিয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন