মণিপুরে ফের সহিংসতা, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

fec-image

মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ আগস্ট) গভীর রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় নতুন করে সহিংসতা শুরু হলে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা কোয়াক্তা এলাকার মেইতি সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। কুকি সম্প্রদায়েরও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে কুকি সম্প্রদায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকতা এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। বিষ্ণুপুর পুলিশ জানিয়েছে, ‘মেইতি সম্প্রদায়ের তিনজন নিহত হয়েছে এবং কুকি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।’

জানা গেছে, এ সময় জঙ্গিদের বেপরোয়া গুলিতে বাবা-ছেলে ও পাশের ঘরের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় তারা নিরস্ত্র অবস্থায় নিজেদের বাড়িতে ছিলেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

গুলিতে মণিপুরের এক কমান্ডো মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে সহিংসতার ঘটনার পর বিষ্ণুপুরে পরিস্থিতি বেশ থমথমে অবস্থায় আছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাফার জোন পেরিয়ে মেইতেই এলাকায় কয়েকজন মানুষ এসে তাদের ওপর গুলি চালায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা সুরক্ষিত বাফার জোনটি বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকতা এলাকা থেকে ২ কিলোমিটারেরও দূরে তৈরি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় সশস্ত্র বাহিনী এবং মেইতি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হওয়ার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটল। সশস্ত্র বাহিনী এবং মণিপুর পুলিশ জেলার কাংভাই এবং ফুগাকচাও এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে প্রায় তিন মাস আগে জাতিগত সহিংসতা শুরু হয়েছিল। তখন থেকে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে। মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলোতে একটি ‘উপজাতি সংহতি মার্চ’ সংগঠিত হওয়ার পর ৩ মে সহিংসতা শুরু হয়।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নিহত, মণিপুর, সহিংসতা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন