মহালছড়ি আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আগের চাইতে অনেক ভালো : মেজর আরিফুল
মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতাঃ
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে শনিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপিত হয়েছে। “মহালছড়ি আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আগের চাইতে অনেক ভালো” সন্ধ্যায় মহালছড়ি জোন উপঅধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আরিফুল হক আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শণ কালে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক কাতারে আনন্দ উৎসবে স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ দেখে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে মহালছড়ি জোনের পক্ষ থেকে যে কোন সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিহার পরিদর্শণ কালে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লাবণী চাকমা, ক্যাপ্টেন মাসুদ রেজা সিদ্দিকী, লে: মো: মশিউর রহমান, মহালছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ সামিউল কবির, সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সুইনুপ্রু চৌধুরী, মহালছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনিল দাশ ও বিভিন্ন পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সৌজন্যে একটি করে ফানুস উত্তোলন করা হয়। আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারে ধর্মপ্রান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের শত শত নারী পুরুষ উপস্থিত থেকে ফানুস উত্তোলনের দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা যায়। মহালছড়ি জোনের পক্ষ থেকে উপঅধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আরিফুল হক আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারাধ্যক্ষ ভান্তেকে বিভিন্ন রকমের ফল সংবলিত একটি ফলঝুড়ির প্যাকেট দান করেন।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ প্রবারণা পুর্ণিমা তিথিতে ভিক্ষুদের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত পালন সমাপ্তি, কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু, ভূল-ত্রুটি ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিশুদ্ধতা অর্জন, অভিধর্ম দেশনা করে তাবতিংস স্বর্গ থেকে বুদ্ধের প্রত্যাবর্তন, বুদ্ধ কর্তৃক যমক ঋদ্ধি প্রদর্শন প্রভৃতি কারণে প্রবারণা পুর্ণিমা বৌদ্ধ জগতে একটি অনন্য স্মরণীয় উৎসব। বর্ষাব্রতের সমাপ্তি এবং মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসবের সূচনা করে বলে প্রবারণা পুর্ণিমাকে বৌদ্ধদের আনন্দের দিনও বলা হয়ে থাকে।