মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর টহলে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলা

fec-image

২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে মানিকছড়ির বৃহত্তর কুমারী, চাইল্যারচর, বটতলী, মাস্টার পাড়াস্থ বড়ডলু’র মুসলিমপাড়ায় উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাবাহিনীর টহলে অতর্কিত হামলা ও অবিরাম গুলিবর্ষণে আহতের ঘটনায় জ্ঞাত ও অজ্ঞাত সশস্ত্র সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছে মানিকছড়ি পুলিশ। এদিকে গুলিবর্ষণে আহত সেনা কমান্ডার মেজর মো. আনিছুর রহমান ও সন্ত্রাসী জনপ্রিয় চাকমা এখনো চিকিৎসাধীন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার দূর্গম জনপদ বৃহত্তর কুমারী, চাইল্যারচর, বটতলী, মাস্টার পাড়া, বড়ডলু’র মুসলিমপাড়ায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র অবস্থানে জনমনে আতংক নেমে আসে। এ সংবাদে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষে টহলে বের হয়। সেনাবাহিনীর টহল গাড়ীটি বড়ডলু’র মুসলিমপাড়াস্থ জনৈক ফয়েজ আলীর বাড়ীর টিলায় পৌছলে সেখানে রক্ষিত মাটির গুদাম ঘরে লুকিয়ে থাকা সশস্ত্র ও সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা অর্তকিত সেনাবাহিনীর ওপর বর্বরোচিতভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে।

আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এভাবে প্রায় সোয়া ১ঘন্টা উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ অব্যাহত থাকায় জনমনে নেমে আসে আতঙ্ক। প্রায় ভয়ে লোকজন দিগ-বেদিক ছুঁটাছুটি করে প্রাণে বেঁচে যায় অনেকে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয় লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আনিছুর রহমান। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে অভিযান জোরদার করে তল্লাশীর এক পর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী জনপ্রিয় চাকমা (৪৫),পিতা- ধীরেন্দ্র লাল চাকমা, সাং-কলেজ টিলা, দীঘিনালাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১টি এসএমজি, ১টি ম্যাগজিন ও ২৬ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে সেনাবাহিনী। কিন্তু সশস্ত্র অন্যান্য সহযোগিরা পালিয়ে যায়।

পরে আহত সেনা কমান্ডার মেজর মো. আনিছুর রহমান ও সন্ত্রাসী জনপ্রিয় চাকমাকে প্রথমে মানিকছড়ি হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎনার জন্য চমেক হাসপাতাল ও সেনা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষ কবলিত স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৮০ রাউন্ড গুলির খোসা ও ২ রাউন্ড তাজা গুলিসহ বন্দুক যুদ্ধের বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে মানিকছড়ি পুলিশ।

ফলে ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সেনাবাহিনী কর্তৃক উদ্ধার করা ১টি এসএমজি, ১টি ম্যাগজিন ও ২৬ রাউন্ড গুলি থানায় জমা দিলে ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি নিজ হেফাজতে ও দখলে রাখার অপরাধে দায়ের করা মামলায়( মামলা নং-৮) আটক জনপ্রিয় চাকমাকে একমাত্র আসামি এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে বেআইনি ভাবে সরকারী কাজে বাধা, সরকারি বাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ, হত্যাচেষ্টা গুরুতর ও সাধারণ জখমের অপরাধসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় সন্ত্রাসী জনপ্রিয় চাকমাসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনকে আসামি করে মামলা (মামলা নং-৯) দায়ের করেছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মামলা পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। অচিরেই আসামীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজাতি, সেনাবাহিনী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন