‘মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো বিলম্বিত হবে’

fec-image

মিয়ানমারে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো বিলম্বিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার পাশাপাশি একইসাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সংকটও আরো বাড়বে। তাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল গড়ে তোলা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজারের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পালস্ শহরের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় পালস্ এর নির্বাহী পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকার সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের এনজিও প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী, নারী সমাজের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এবং নোয়াখালীর ভাসানচরের আশ্রয় শিবিরগুলোতে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করেছে। শিবিরগুলোতে বছরে ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং বিদেশি এনজিওগুলোর রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার সার্বিক উন্নয়নেও অবশ্যই কাজ করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট এবং দেশ-বিদেশের এনজিওদের কাজকর্ম নিয়ে মাঠ পর্যায়ে আরও গবেষণা করা দরকার।

এসময় এনজিও প্রতিনিধিরা বলেন, দেশি ও বিদেশি উন্নয়ন সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করে তাদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে গাইডলাইন দেওয়া আছে মোট বাজেটের শতকরা ২৫ ভাগ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার। কিন্তু সরকারের সেই গাইডলাইন আদতেই বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, হলেও শতকরা কত ভাগ হচ্ছে এসব তথ্য কেউ জানে না, জানার মতো সুযোগও নেই। এ ব্যাপারগুলোর কঠোর তদরকি ও নজরদারি করা প্রয়োজন।

সংলাপে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, এনজিও এর বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা ইতিবাচক নয়। প্রতিনিধিরা সব এনজিওতে গণতন্ত্রের অবাধ চর্চা, জনবল নিয়োগে মেধাও, দক্ষতা এবং যোগ্যতার মূল্যায়ন, কাজের সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা বাড়ানোর উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় বিশিষ্ট নাট্যজন, সংস্কৃতি ও উন্নয়নকর্মী শিশির দত্ত, গণমাধ্যমকর্মী মুহাম্মদ আলী জিন্নাত ও এইচএম এরশাদ, মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন