যুক্তরাষ্ট্রকে ৫০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করল ইরান

fec-image

* ২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে এক ড্রোন হামলায় জেনারেল সোলেইমানি নিহত হন। * সোলাইমানির হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে ৩৩০০ জন ইরানি নাগরিক মামলা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার দায়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি) ডলার জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তেহরানের একটি আদালত। বুধবার এ নির্দেশ দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা ভয়েজ অব আমেরিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলেইমানি (৬২) এবং ইরাকি লেফটেন্যান্ট আবু মাহদি আল-মুহান্দিস নিহত হন।

ইরানের আইন মন্ত্রণালয়ের বার্তা সংস্থা মিজান অনলাইন জানিয়েছে, কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি ইরানি নাগরিক মামলা করেছেন। সেই মামলার বিচারে মার্কিন সরকারকে বস্তুগত, নৈতিক ও শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তেহরানের আদালত।

এ মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রশাসন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারসহ ৪২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে মার্কিন সরকার এবং সোলেইমানির মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানদের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া উচিত।

সোলেইমানি হত্যার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পদক্ষেপের ন্যায্যতা দাবি জানিয়েছিলেন এই বলে যে, ওই অঞ্চলে আমেরিকান কূটনীতিক এবং সৈন্যদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন ইরানের শীর্ষ এই জেনারেল। এ ছাড়া ট্রাম্প আরও দাবি করেছিলেন যে, সোলাইমানি লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দায়ী।

ওই হামলার কয়েকদিন পরে ইরাকে থাকা মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, হামলায় কয়েক ডজন সৈন্য মানসিক সমস্যায় ভুগে।

কাসেম সোলেইমানি ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের বিদেশী অপারেশন শাখা কুদস ফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন।

তিনি ছিলেন দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, যিনি ইরানের মধ্যপ্রাচ্য অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাকে ১৯৮০-৮৮ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের নায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইরান, জরিমানা, যুক্তরাষ্ট্র
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন