মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমেরিকা ও ইসরাইলের বিচার করতে হবে: ইরানের প্রেসিডেন্ট

fec-image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ করার দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তেহরানে ফিলিস্তিন বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি গাজা উপত্যকার নারী ও শিশুদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করাসহ ইসরাইল গাজায় আরো যেসব ভয়ানক অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানান। গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতি আমেরিকা ও সুনির্দিষ্ট কিছু পশ্চিমা দেশসহ মানবাধিকারের কথিত রক্ষকদের অন্ধ সমর্থনের তীব্র নিন্দা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, গাজার চলমান ঘটনাপ্রবাহের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা মানবাধিকার ও মানবতা রক্ষা করার কথা বলে তাদের নিষ্ক্রিয়তা এখন সবচেয়ে বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়।

প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, গাজায় যে ভয়ঙ্কর অপরাধযজ্ঞ চলছে তা আরেকবার বিশ্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত অন্যায় ব্যবস্থার স্বরূপ উন্মোচন করে দিয়েছে। এ কারণে তিনি ন্যায়ভিত্তিক একটি নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জোর আহ্বান জানান। তেহরানে ফিলিস্তিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি এ ধরনের পদক্ষেপ দীর্ঘ সময়ের জন্য চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করার যে চেষ্টা চলছে তার বিরোধিতা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে আমেরিকাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের আসল চেহারা ফাঁস হয়ে গেছে জানিয়ে বলেন, এসব পশ্চিমা দেশ গাজা যুদ্ধের একটি পক্ষ নিয়েছে বলে তারা কখনও শান্তি স্থাপনের জন্য মধ্যস্থতাকারী হতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকা ও তার মিত্ররা একদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থাপনের প্রস্তাবে ভেটো দিচ্ছে এবং অন্যদিকে ইসরাইলকে চরম ধ্বংসাত্মক সমরাস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আমেরিকা, ইরান, ইসরাইল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন