রাঙামাটিতে বনভান্তের জন্মোৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

Rangamati  pic-1

স্টাফ রিপোর্টার:

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটির রাজবন বিহারে উদযাপিত হয়েছে মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত বৌদ্ধ আর্যপুরুষ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ৯৭তম জন্মদিন।

এ উপলক্ষে পালিত হয়েছে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। বনভান্তের এই জন্মোৎসবে নামে অগণিত পুণ্যার্থীর ঢল। নানা রঙের বেলুনে সাজানো হয় গোটা রাজবন বিহার এলাকা।

শুক্রবার ভোর ৫টায় কেক কেটে রাঙামাটি রাজবন বিহারের শুভ সূচনা করা হয় বনভান্তের জন্মোৎসব। ওই সময় উড়ানো হয়েছে হাজারও বেলুন। প্রযুক্তি সাপোর্টে বন বিহারে সংরক্ষিত তার নিস্প্রাণ দেহে ফুলে ফুলে বনভান্তেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সমবেত পুণ্যার্থীরা।

সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চশীল প্রার্থনা, সংঘদান, উৎসর্গ, অষ্টপরিস্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান ও ধর্মীয় সভা। এছাড়া বিকালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলণের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের মাঝে ধর্মনির্দেশনাদেন বনভান্তের উত্তরসূরি ও রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুপ্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারসহ বিভিন্ন প্যাগোডা থেকে আগত বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘ, চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, সাবেক পার্বত্য উপমন্ত্রী মণিস্বপন দেওয়ান, রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ানসহ অগণিত পুণ্যার্থী ও ভক্তকূল।

বৌদ্ধ আর্যপুরুষ মহাসাধক বনভান্তের ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙামাটি সদরের ১১৫নং মগবান মৌজার মোড়ঘোনা নামক গ্রামের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে। মানব সংসারে দুঃখ-কষ্ট দেখে মহামতি গৌতম বুদ্ধের পথ অনুসরণ করে ১৯৪৯ সালে প্রব্রজ্যা নিয়ে সংসার ছেড়ে বৌদ্ধসন্যাসীর জীবন ধারণ করেন বনভান্তে। দীর্ঘ ধ্যান-সাধনার মাধ্যমে লাভ করেন বৌদ্ধ ধর্মের অলৌকিক শক্তি অরহত্ব। তার পথ ধরেই ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাপরিনির্বাণ লাভের মধ্য দিয়ে দেহত্যাগ করেন বনভান্তে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন